ফরিদপুর করেসপনডেন্ট:
ফরিদপুরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কোতয়ালী থানায় বাস চালককে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের এক স্বজন। বাদী ইমামুল শেখ নিহত ইকবাল শেখের ছোট ভাই। তিনি বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কুমড়াইল গ্রামের সাদেক শেখের পুত্র। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান হাসান।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইউনিক পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-১৭৫৯) সাথে একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এখন পর্যন্ত এক পরিবারের চারজনসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সকলেই পিকআপ ভ্যানের যাত্রী ছিছেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, মঙ্গলবার সকাল ৭.৪০ মিনিটে নিহতরা ফরিদপুরে যাওয়ার জন্য একটি পিকঅ্যাপ ভ্যানে রওনা দেন। পথে কোতয়ালী থানা এলাকার দিগনগর এলাকায় ফরিদপুর-মাগুরা মহাসড়কে ইউনিক পরিবহন বাসের অজ্ঞাতনামা চালক দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকঅ্যাপ ভ্যানটি চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাই ইকবাল শেখসহ তিনজন মারা যায়। আমি বাস চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলার এজহার জমা দেয়া হয়। এরপর রাত একটায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ চিকিৎসাধীন পপি বেগম (২৫) মারা যান। তাতে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫-এ।
পপি বেগম নিহত ইকবাল শেখের স্ত্রী। বুধবার দুপুরে আলফাডাঙ্গা উপজেলার হিদাডাঙ্গা গ্রামে বাবার বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ দুর্ঘটনার তদন্তে গঠিত জেলা প্রশাসনের ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।
/এমএন
Leave a reply