রিয়াল মাদ্রিদ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এ যেনো এক সূত্রে গাঁথা কোনো গোলকধাঁধা। স্প্যানিশ ক্লাবটির এমন অনেক মৌসুম গিয়েছে যেখানে লিগ, কাপে কাঙ্খিত ফলাফল না এলেও ইউসিএল তাদের দুহাত ভরিয়ে দিয়েছে। বরাবরের মতোই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হট ফেভারিট লস ব্লাঙ্কোসরা। ইতিহাদে রোমাঞ্চকর কোয়ার্টার ফাইনাল আর টাইব্রেকারের রুপকথাময় থ্রিলারে শেষ হাসি রিয়ালের।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ম্যানসিটির মাঠে মুখোমুখি হয় রিয়াল ও সিটিজেনরা। আগের ম্যচে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩-৩ ড্র তে নিষ্পত্তি হয়েছিল প্রথম লেগের খেলা। সিটির মাঠে রিয়াল লিড পেয়ে যায় ম্যাচের ১২ মিনিটেই। এডারসনের কাছ থেকে ফিরে আসা বলে টাচ করে জালে লক্ষ্যভেদ করেন রদ্রিগো। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ তে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আনচেলত্তির শিষ্যরা।
বিরতির পর দুদলই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। একের পর এক আক্রমণ সাজানো সিটি দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরে কেভিন ডি ব্রুইনের গোলে। জেরেমি ডকু পাস দেন ডি বক্সের ভেতরে। রুডিগার বলটা ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। সেই বল পেয়ে যান ডি ব্রুইন। লুনিনের মাথার উপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও ফলাফল অমিমাংসীত। গোল করতে ব্যর্থ দুদলই। ফলাফল নির্ধারণের শেষ সুযোগ টাইব্রেকার পেনাল্টি।
টাইব্রেকারে প্রথমে এগিয়ে থাকে সিটি। প্রথম শটে আলভারেজ লক্ষ্যভেদ করতে পারলেও রিয়ালের হয়ে ব্যর্থ লুকা মড্রিচ। কিন্তু এরপরেই গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে। সিটির দ্বিতীয় শট নিতে আসে সিলভা। ফিরিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক। আগের সতীর্থের মতোই ব্যর্থ কোভাসিচও। পিছিয়ে পড়ে সিটি। এরপর সিটি আর কোনো ভুল করেনি, ফিল ফোডেন ও এডারসন ঠিকই জালের দেখা পান। অপরদিকে সফল রিয়ালও। একে একে জুদে বেলিংহ্যাম, লুকাস ভাসকেজ ও নাচোর পর জাল খুঁজে পান রুডিগারও। পেনাল্টিতে ৪-৩ গোলে জিতে সেমিফাইনালে উঠে টুর্নামেন্টের রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
উল্লেখ্য, অপর কোয়ার্টারে আর্সেনালকে হারিয়ে সেমিতে ওঠে বায়ার্ন মিউনিখ। সেমিফাইনালে বাভারিয়ানদের মুখোমুখি হবে লস ব্লাঙ্কোসরা।
/এমএইচআর
Leave a reply