অপরিবর্তিত চালের বাজার, ব্যবসায়ীদের মুখে আশার বাণী

|

চড়া দামে অপরিবর্তিত চালের বাজার। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগ উঠেছে। ক্রেতারা বলছেন, চাল উৎপাদন ও বিপণনের প্রতিটি ধাপেই নজরদারি প্রয়োজন। এদিকে ভারতে চালের দাম বৃদ্ধির জন্য আমদানিতে উৎসাহ নেই অনেক ব্যবসায়ীর। পর্যবেক্ষণ করছেন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি। পাইকারদের দাবি, এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন বোরো মৌসুমের চাল আসবে। তখন দাম কিছুটা কমতে পারে।

দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির পর, এখন চড়া দামে স্থির হয়ে আছে চালের বাজার। সরবরাহে ঘাটতি নেই। আছে আমদানির অনুমতিও। তবুও দাম কমছে না। বরং মিনিকেট চালের দাম মানভেদে কেজি প্রতি আরো দুই টাকা বেড়েছে। সবচেয়ে কম দামের মোটা চাল, এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। আর পাইজাম ও বিআর ২৮ এর জন্য গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। মানভেদে ৭০ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে মিলছে মিনিকেট ও নাজিরশাইল। চালের এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল ক্রেতারা।

দাম বৃদ্ধির জন্য রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা দুষছেন, মিলার ও আমদানিকারদের। তাদের অভিযোগ, ধান-চালের মজুত ও বিপণণ প্রক্রিয়ার পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করছে গুটিকয়েক কর্পোরেট কোম্পানি। সরবরাহে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করা হচ্ছে।

মৌসুমের একবারে শেষ দিকে, ধানের সংকট এবং দাম বৃদ্ধির অজুহাত তুলছেন মিলাররা।

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে, এরইমধ্যে চলতি বছর দ্বিতীয় দফা চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। ১৬ এপ্রিল ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ২৪ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর আগে ২১ মার্চ ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩ হাজার টন আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছিলো। যদিও এলসি সংকট এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে বিদেশ থেকে চাল আনছেন না আমদানিকারকরা।

আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের ১৫ মে’র মধ্যে পুরো চাল বাজারজাত করতে হবে। অন্যদিকে সপ্তাহখানেকের মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করবে নতুন বোরো মৌসুমের চাল।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply