ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের কানাইপুরে সংঘটিত ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘাতক বাসের চালককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০ ফরিদপুর কোম্পানীর সদস্যরা। গত ১৬ এপ্রিল ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে বাস ও পিকাপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহতের এক স্বজন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল উত্তরা ইউনিক পরিবহনের বাস চালক। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নামে র্যাব সদস্যরাও।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দেন র্যাবের কোম্পানী অধিনায়ক কেএম শাইখ আকতার।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল বাস চালক। তাই প্রথম কাজ ছিল বাস চালকের পরিচয় শনাক্ত করা। তার নাম মো. খোকন মিয়া (৫৪)। সে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদপুর থানার বাজে বামনদহ গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
এই র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, এই চালক ঈদের আগে থেকেই টানা গাড়ি চালিয়ে আসছে। দুর্ঘটনার আগের রাতেও সে বাস নিয়ে ঢাকা যায়। ঢাকা পৌঁছার ১ ঘণ্টা পরেই আবার বাস নিয়ে জীবননগরের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। টানা গাড়ি চালানোর কারণে চালক ছিল ক্লান্ত, ফলে তার তন্দ্রাভাব বা ঘুমভাব আসছিল। এছাড়াও অতিরিক্ত গতি ছিল দুইটি পরিবহনেররই।
শাইখ আকতার জানান, যেহেতু এই ঘটনায় কোতয়ালী থানায় এক নিহতের স্বজন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে, সেহেতু এই বাস চালককে আমরা কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবো।
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল সকালে আলফাডাঙ্গা থেকে ১৮ জন নারী-শিশু ও পুরুষ নিয়ে পিকআপ যোগে ত্রানের টিন নিতে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন, অপরদিকে উত্তরা ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সকাল পৌনে ৮টার দিকে ফরিদপুরের কানাইপুর এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এই দুই পরিবহনের। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন, পরে ফরিদপুর ও ঢাকার হাসপাতালে আরও ৪ জন নিহত হয়। তারা সবাই পিকআপের যাত্রী ছিল।
এটিএম/
Leave a reply