চলতি ডিপিএলে সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপার দৌড়ে আরও এক কদম এগিয়ে গেল আবাহনী লিমিটেড। আগে ব্যাট করতে নেমে শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের দাপুটে বোলিংয়ে মাত্র ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। লক্ষ্য তাড়ায় লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়ের জোড়া ফিফটিতে ৬৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে আবাহনী। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন। এই জয়ের ফলে, গ্রুপ পর্বের ১১ ম্যাচসহ সুপার লিগের এই ম্যাচ দিয়ে টানা ১২ ম্যাচ জিতলো আবাহনী।
সোমবার (২২ এপ্রিল) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আবাহনীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের তোপের মুখে দলীয় ৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে প্রাইম ব্যাংক। ১০ বলে ১ রান করেন তামিম। ০ রানে আউট হন পারভেজ হোসেন ও শাহাদাৎ হোসেন দিপু করেন ৪ রান।
৫ রানে ৩ উইকেট হারানো প্রাইম ব্যাংকের হয়ে হাল ধরেন জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। এই জুটিতে ধাক্কা সামাল দিয়ে ১০০’র পথে হাঁটতে থাকে প্রাইম ব্যাংক। তবে দলকে ১০০ পার করিয়ে ১১৭ রানে ৪৪ রান করা মুশফিক ফিরে যান তানভীর ইসলামকে উইকেট দিয়ে। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও সঙ্গী হারিয়ে জাকিরও টিকতে পারেননি ক্রিজে। সাইফউদ্দিনকে উইকেট দিয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটার বিদায় নেন ৭০ বলে ৬৮ রানে।
এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ও শেখ মেহেদি দ্রুত বিদায় নিলে ১৫০’র আগে অল আউট হওয়ার শঙ্কা জাগে প্রাইম ব্যাংকের। সেখান থেকে হাসান মাহমুদের চেষ্টায় দলীয় ১৫০ পার করে প্রাইম ব্যাংক। তবে ৩৯.৩ ওভারেই ১৭৮ রানে প্রতিপক্ষকে থামিয়ে দেয় আবাহনীর বোলাররা। ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন শরিফুল। ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন, মোসাদ্দেক ও তানভীর।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেন আবাহনীর দুই ওপেনার লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয়। তাদের ব্যাটে পাওয়ারপ্লে পার করার চেষ্টায় ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দলীয় ৩৫ রানে অবশ্য ৩২ বলে ২২ রান করা বিজয়কে বিদায় করেন সানজামুল। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন।
এই জুটিতে দলীয় ১০০’র পথে হাঁটতে থাকে দলটি। ২৭ বলে ২২ রান করা শান্ত দলীয় ৮৭ রানে ফিরে যান শেখ মাহেদিকে উইকেট দিয়ে। এরপর চারে নামা আফিফ হোসেন ফিরে যান দলীয় ৯৭ রানে। তবে ৫ নম্বরে নেমে তাওহিদ হৃদয় ও লিটন মিলে আবাহনীকে জয়ের পথে নিতে থাকেন। লিটনকে দর্শক বানিয়ে ছক্কা-চারের মিশেলে হৃদয় ঝড় তুলেন প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর। এতোটাই আক্রমণাত্মক ছিলে হৃদয় মনে হচ্ছিলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তিনি। মাত্র ২৭ বলে ৫ ছক্কার আর ৪ বাউন্ডারিতে ৫৫ রান করে ফেরেন বগুড়ার এই ক্রিকেটার। অন্যদিকে, ফিফটি তুলেছেন লিটনও। তার ১০৬ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন লিটন।
/আরআইএম
Leave a reply