গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার মুশতাক আহমেদকে বাংলাদেশ দলের নতুন স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দায়িত্ব পাওয়ার পরই গতকাল সোমবার বিকেলে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন মুশতাক। ঢাকায় পা রাখার পরদিন আজ (মঙ্গলবার) বিসিবিতে আসেন মুশতাক। মিরপুর শেরে বাংলায় তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে বিসিবি। ভিডিও অ্যানালিস্ট মহসিন শেখও এদিন এসেছিলেন বিসিবিতে।
ক্রিকেট বোর্ডের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে সৌজন্য আলাপের পর তাকে জড়িয়ে ধরছেন মুশতাক। পরে ক্রিকেট অপারেশন্সের সহকারী ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস বাংলাদেশ দলের প্রাকটিস কিট মুশতাকের হাতে তুলে দেন। এরপর প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে আলাপ করতে দেখা যায় মুশতাককে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কোচ নিক পোথাস, ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পও। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গেও করমর্দন করতে দেখা গেছে মুশতাককে। ছিলেন মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলামরাও।
আসন্ন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই নিজের অভিযান শুরু করবেন সাবেক তারকা লেগ স্পিনার। টাইগারদের নতুন এই স্পিন কোচের চুক্তির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত। আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই আন্তর্জাতিক আসর।
এর আগে ৫৩ বছর বয়সী সাবেক এই পাকিস্তানি তারকা বেশ কয়েকটি জাতীয় দলের স্পিন বিভাগ সামলেছেন। ২০০৮–১৪ ইংল্যান্ড, ২০১৮-১৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০২০-২২ পাকিস্তান জাতীয় দলের স্পিন কোচ ছিলেন মুশতাক আহমেদ। এছাড়া ২০১৪-১৬ সময়কালে তিনি বোলিং পরামর্শক ছিলেন পাকিস্তানের।
বিসিবির দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে মুশতাক আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ হওয়া আমার জন্য অনেক বেশি সম্মানের। আমি আমার দায়িত্ব পালনের দিকে পুরো মনোযোগ দিচ্ছি এবং অর্জিত অভিজ্ঞতা ক্রিকেটারদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি তারা (বাংলাদেশ) বিশ্বের অন্যতম ভয়ংকর দলগুলোর একটি।
বাংলাদেশকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে নতুন কোচ বলেন, তারা যেকোনো দলকেই হারাতে পারে, কারণ তাদের সেই সামর্থ্য, সম্পদ ও প্রতিভা আছে। আমি চেষ্টা করব আমার এই বিশ্বাসটাই তাদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি বেশ রোমাঞ্চিত।
১৯৯২ সালে পাকিস্তানের একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক মুশতাক আহমেদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪৪ ওয়ানডে খেলে তার শিকার ১৬১ উইকেট। এছাড়া ৫২ টেস্ট খেলে এই লেগস্পিনার ১৮৫ উইকেট নিয়েছেন। তবে চোটের কারণে মুশতাকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষটা ভালো হয়নি। এরপরও অবশ্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের সামর্থ্য দেখিয়ে গিয়েছিলেন মুশতাক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩০৯ ম্যাচ খেলে তার উইকেট ১ হাজার ৪০৭টি। ইনিংসে চার উইকেট নিয়েছেন ১০৪ বার, ম্যাচে ১০ উইকেট ৩২ বার।
/আরআইএম
Leave a reply