গাইবান্ধা করেসপনডেন্ট:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় কাবিনের টাকা ও সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচা আব্দুল খালেক মিয়ার বিরুদ্ধে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ভাতিজি শারমিন আক্তারকে (২২) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শারমিন আক্তার উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমুদপুর গ্রামের মৃত শুকুর উদ্দিনের মেয়ে।
পুলিশ ও শারমিন আক্তারের পরিবার জানান, প্রায় এক বছর আগে শারমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরেই তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। এ সময় তার স্বামীর পরিবার দেনমোহরের টাকা চাচা আব্দুল খালেকের কাছে দেয়। সেই টাকা শারমিনকে দেয়নি সে। দেমমোহরের টাকা ও শারমিনের নামে থাকা সম্পত্তি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বুধবার সকালেও তাদের মধ্যে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুল খালেক ও তার দুই ছেলের মারধরে গুরতর আহত হন শারমিন। পরে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসাপাতালে নিলে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শারমিনের মা জানান, তার দুই মেয়ের নামে ৩২ শতাংশ জমি রয়েছে। সেই জমি নিয়ে চাচার সাথে বিভিন্ন সময়ে ঝগড়া হতো। এ নিয়ে সকালে আব্দুল খালেক শারমিনকে মারধর শুরু করে। পরে আব্দুল খালেকের ভাই আব্দুল বারী, তার ছেলে রহমান ও ছকুও মারধর করতে থাকে। তাদের মারধরে শারমিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পলাশবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম পরিচয় বলা যাবে না।
আরএইচ/এটিএম
Leave a reply