জ্যোৎস্নাস্নাত হাতিরঝিলের জলে বয়ে চলেছে মৃদুমন্দ বায়ু। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনি শেষে সেখানেই প্রশান্তির খোঁজ। ঝিলপাড়ে মাদুর কিংবা গামছা বিছিয়ে গভীর ঘুমে নানা বয়সী মানুষ। অনেকে আবার আড্ডা জমিয়েছেন বন্ধুদের সঙ্গে। গল্পে-গানে পার হয়ে যাচ্ছে জ্যোৎস্নারাত।
হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা একজন বলেন, বাসায় বেশ গরম। তাই এখানে আড্ডা দিতে এসেছি। বাতাস আছে ভালোই। আরেকজন বলেন, এতো রাতে বাবা-মা বা বয়সীরা তো বাসা থেকে বেরোতে পারে না। আমরা দরজাটা খুলে বের হয়ে এসেছি। গায়ে প্রাকৃতিক বাতাস মাখব বলে। যতোক্ষণ বাতাস আছে, থাকব এখানে।
মাঝরাতে হাতিরঝিলে আগতরা জানান, ঘরে ফ্যান চললেও ছাদ আর দেয়ালের তাপে গরম হয়ে যায় বাতাস। ফলে বাধ্য হয়েই রাতের বেলায় ঘর ছেড়েছেন তারা।
হাতিরঝিলের পাশে খালি গায়ে বসে থাকা একজন বলেন, বাসার ভেতরে গরম। শুয়ে ছিলাম, গরমে টিকতে পারিনি। তাই এখানে আসা। এখানের বাতাস খেলে শরীরে একটু ঠান্ডা লাগে। তার পাশে বসা একজন বলেন, ঘরে দেয়ালের তাপে ঘুমানো যায় না। শরীর ঘেমে যায়। রাতে হাতিরঝিলে এলে ভালো লাগে। ঝিলপাড়ের বাতাসে পরম শান্তিতে ঘুমানো যায় বলে জানান তারা।
তবে ঝিলের নির্মল বাতাসে পুরুষেরা তাদের শরীর-মন জুড়িয়ে নিতে পারলেও বাসায় দুর্ভোগে স্ত্রী-সন্তানেরা। অনেকে বলছেন, গরমে অনিদ্রাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের স্বজনরা। তারা বলেন, বাচ্চারা ঘামছে অনেক বেশি। ঘামানোর চোটে শরীরে গোটা গোটা উঠেছে। আর বাসায় থাকা নারীদের জন্যও অসহনীয় হয়ে উঠেছে এই গরম।
ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাতে হাতিরঝিলে আগতরা বলেন, তীব্র গরমে হাতিরঝিল যেন প্রশান্তির আধার। তাই তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে জলাশয়গুলো উন্মুক্ত করার পাশাপাশি সবুজ বেষ্টনির পাড় গড়ে তোলার দাবি রাজধানীবাসীর।
/এএম
Leave a reply