হাতের ইশারায় সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ আর ট্রাফিক আইন ভাঙলে গাড়ি থামিয়ে জরিমানার দিন শেষ হতে চলেছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের কাজ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এরইমধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ট্রাফিক পাইলট প্রকল্পের প্রথম ধাপে গুলশান ২ সার্কেলে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি।
গাড়ির চালক, পথচারী ও ট্রাফিক পুলিশ সকলেই নতুন এই সিস্টেমকে স্বাগত জানালেন। ট্রাফিক আইন মানলে যানযট কমবে। বাঁচবে সময়। নিরাপদ হবে সড়ক।
এক যাত্রী জানালেন, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ না থাকলে তো ভালো। আইনের প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল। আইন মেনে চলতে হবে। একজন গাড়ির চালক জানালেন, নিয়ম না মানলে অটোমেটিক্যালি কেস (মামলা) হয়ে যাবে তার বিরুদ্ধে। এটা স্বাভাবিক। আমি মনে করি, এটা ভালো উদ্যোগ। এ বিষয়ে সবার সচেতনতা দরকার বলে মনে করছেন তারা।
কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে পুরো চিত্র পর্যবক্ষেণ করবে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ট্রাফিক পুলিশসহ একদল কারিগরি টিম। ট্রাফিক আইন ভাঙলে সয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির মালিকের ফোন নাম্বারে চলে যাবে এসএমএস। প্রথম ধাপে এসএমএসের মাধ্যমে সতর্ক করার কাজটি করা হবে। আইন ভঙ্গের ভিডিও ফুটেজসহ সব তথ্য প্রমাণ সরবরাহ করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজটি চলছে। মেয়র জানান, প্রাথমিকভাবে গুলশানসহ ৬টি সিগন্যাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোন গাড়ি আইন ভাঙলো বা বাম পাশের সিগন্যাল না মেনে চলে গেলো, সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। এখন শুধু এটিই নয়, ট্রাফিক আইন ভাঙলে সয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির মালিকের ফোন নাম্বারে এসএমএস চলে যাবে। আইন ভাঙলে দিতে হবে ফাইন।
ম্যানুয়ালি অনেক পরিশ্রম করে ট্রাফিক পুলিশকে কাজ করতে হয়। এমন প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার শুরু হলে তাদের কষ্টটা কমবে।
বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সাইফুন নেওয়াজ বলেন, এটার সফলতার জন্য খেয়াল রাখতে হবে, যাতে মেইনটেনেন্সটা ঠিকভাবে হয় এবং বাইসাইকেল, রিকশাসহ সব রকম যানবাহনকে এর আওতাধীন করা হয়। তাহলে আশা করা যায়, সুফল মিলবে। আইন ভাঙলে তার শাস্তি পেতে হবে এমন সংস্কৃতি গড়ে তোলা দরকার বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।
/এএম
Leave a reply