টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক কে হবেন? জল্পনা চলছে ক্রিকেট মহলে। রিশাভ পান্ত, লোকেশ রাহুল, সঞ্জু স্যামসনেরা রয়েছেন লড়াইয়ে। আইপিএলে সকলেই ভালো ফর্মে রয়েছেন। যা ভারতীয় নির্বাচকদের কাজ কঠিন করতে পারে।
গাড়ি দুর্ঘটনার পর ক্রিকেটে ফিরেছেন পান্ত। চলতি আইপিএলে ব্যাঁট হাতে রানও করেছেন তিনি। ৯ ম্যাচে প্রায় ৪৯ গড়ে পান্তের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪২ রান। ফিফটি করেছেন ৩টি ম্যাচে। উইকেটরক্ষক হিসাবেও ১১টি উইকেটের নেপথ্যে রয়েছে পান্তের হাত। তিনি যে ফর্মে রয়েছেন সেটা স্পষ্ট। বিশ্বকাপের দলে তার জায়গা পাওয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেকেই।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিয়াইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলিও পান্তকে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে দেখছেন। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, পান্ত অবশ্যই নির্বাচকদের নজরে রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি ও বিশ্বকাপ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে।
সৌরভের সঙ্গে যদিও একমত নন ভারতের সাবেক স্পিনার হরভজন সিং। এ স্পিনারের মতে সঞ্জু স্যামসনকে বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়া উচিত। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেন স্যামসন। দীর্ঘদিন যাবত ফ্রাঞ্চাইজিটির অধিনায়ক হিসেবেই খেলছেন তিনি। হরভজন বলেন, স্যামসনকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে নেয়া উচিত। রোহিতের পর ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসাবে তৈরি করা উচিত স্যামসনকে।
স্যামসন, চলতি আইপিএলে শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকায় অবস্থানটা এখন চতুর্থ স্থানে। এখন পর্যন্ত খেলা ৮ ম্যাচে ১৫২.৪২ স্ট্রাইক রেটে ৩১৪ রান করেছেন এই ব্যাটার। তিনটি হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। সর্বশেষ গতকালের ম্যাচে মুম্বাইয়ের বিপক্ষেও অপরাজিত ৩৮ রান করে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন। স্যামসনকে ভারতীয় দলে ঢুকতে হলে আরও কিছু নাম পেরোতে হবে। যেখানে লোকেশ রাহুল, ইশান কিষানরা থাকছেন। যারাও উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে প্রস্তুত আছেন। বাদ যায় না দীনেশ কার্তিকও।
বাদ পড়তে পারেন রাহুলও। কারণ তিনিও টি-টোয়েন্টিতে ওপেনার। আইপিএলে ৮ ম্যাচে ৩০২ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৪১.১২। তবে রাহুলের সুবিধা তিনি একাধিক জায়গায় ব্যাট করার ক্ষমতা রাখেন। সেই সঙ্গে উইকেটরক্ষকের কাজও করতে পারেন। এমন একজন ক্রিকেটারের ব্যাটে রান থাকায় দলে জায়গা হতেও পারে। রাহুলকে নেয়ার বড় সুবিধা, তিনি যেমন চার নম্বরে ব্যাট করতে পারেন, তেমনই প্রয়োজনে ওপেন করতে পারেন। সঞ্জু নীচের দিকে ব্যাট করতে খুব একটা স্বচ্ছন্দ নন। সেই যুক্তিতে জায়গা হতে পারে রাহুলের।
এই দুই উইকেটরক্ষকের সঙ্গে লড়াইয়ে থাকবেন ইশান কিশান, জীতেশ শর্মা এবং দীনেশ কার্তিক লোকেশ রাহুল। এই তিনজনের মধ্যে ইশান ওপেন করেন। ফলে তাকে দলে নেয়া কঠিন। আইপিএলে ইশান ৮ ম্যাচে ১৯২ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৬৮.৪২। একটি ম্যাচে অর্ধশতরান করেছেন তিনি। ওপেনার হিসাবে সে ভাবে রান পাচ্ছেন না। ফলে তার জায়গা পাওয়া কঠিন হবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ইশানকে বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলে আইপিএলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। সেটা ভালোভাবে নেয়নি বোর্ড। তাকে দলে না নেয়ার ক্ষেত্রে সেটাও একটা কারণ হতে পারে। তবে ৮ ম্যাচে ১২৮ রান করা জীতেশের জায়গা পাওয়া কঠিন। বাকিদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছেন তিনি।
/আরআইএম
Leave a reply