গ্রীষ্মের খরতাপে নাকাল মানুষ। তাপমাত্রার পারদের ঊর্ধ্বগতি ও তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। তীব্র গরমে পথিককে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় গাছ। তবে এর মাঝেই কুষ্টিয়া বন বিভাগ সড়কের পাশের প্রায় দেড় হাজার গাছ কাটার দরপত্র দিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও তারা বলছে, তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলেই দেয়া হবে কার্যাদেশ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গাছে গাছে জুড়ে দেয়া হয়েছে নাম্বার। গেল বছর এই সড়কেই কাটা হয়েছিল গাছ যার ক্ষত এখনও পথে পথে স্পষ্ট।
গরমের রুদ্ররূপ থেকে রক্ষায় গাছের জুড়ি নেই। তাই বৃক্ষ নিধনে বন বিভাগের দরপত্র আহ্বানের বিষয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। বন বিভাগের এই দরপত্রে হতবাক জনপ্রতিনিধিরাও। পরিবেশ বাঁচাতে গাছগুলো রক্ষার দাবি তাদের।
সমিতির মাধ্যমে ২০১১-১২ সালে এই বনায়ন কার্যক্রম করা হলেও, গাছ কাটার দরপত্রের পর সেখানেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, আমি বন বিভাগকেও বলবো, এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগকেও নতুন করে বৃক্ষ রোপণের জন্য অনুরোধ করবো।
এ বিষয়ে স্থানীয় চাপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক মঞ্জু গাছ না কাটার জন্য বন বিভাগকে আহ্বান জানান।
তবে বন বিভাগের দাবি, সামাজিক বনায়ন নীতিমালা অনুযায়ী দারিদ্র বিমোচনসহ রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গাছ কাটা হয়। তবে এই বিষয়ে ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হয়নি কেউ।
এটিএম/
Leave a reply