ইরাকের আলোচিত টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) তার বাসার সামনে একটি অচেনা মোটরবাইক এসে দাঁড়ায় সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায়, লোকটি মোটরবাইক থেকে নেমে এগিয়ে যায় ফাহাদের কালো এসিউভি গাড়ির দিকে। এরপর সেই সন্ত্রাসী তারকার গাড়ির দরজা খুলে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
এই টিকটক তারকার সম্পর্কে বেশ কিছু অজানা অথ্য জানা গেছে। প্রথমত তিনি তার ভিডিওর জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। অনলাইন জগতে তিনি ওম ফাহাদ নামের পরিচিত হলেও তার আসল নাম, ঘুরফান সাওয়াদি।
ফাহাদ মূলত ইরাকি সঙ্গীতের সাথে নানা ধরনের নৃত্য ও খাবার সংক্রান্ত ভিডিও তৈরি করতেন। তার বেশ কিছু ভিডিওর ভিউ ছিল অর্ধ মিলিয়নের বেশি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরাকের একটি আদালত ফাহাদকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রধান করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি তার কনটেন্টে নানা ধরনের অশ্লীল কথা বলেন, যা জনস্বার্থ বিরোধী।
এরপরই জেনেভা ভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থা এই রায় সম্পর্কে একটি বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, তারা ফাহাদের বানানো কোনো কনটেন্টে আপত্তিকর কিছু খুঁজে পায়নি। ভিডিওতে তিনি যা বলেছেন সেটি তার স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার।
এর আগে, ২০২৩ সালে ইরাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাহাদের মতো তারকাদের বানানো ‘অশ্লীল’ কনটেন্ট খুঁজে বের করতে একটি কমিটি গঠন করে। আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এসব কনটেন্ট ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে নিতে অনলাইনে একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়। ফলে বেশ কিছু কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সরকারের তোপের মুখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় এবং তাদের কনটেন্ট সরিয়ে নেয়।
ইরাকে অনলাইন তারকার হত্যা এই যে প্রথম এমন নয়। প্রায় বছর খানেক আগে ২৩ বছর বয়সী নূর আল সাফার নামের আরেক যুবকও হত্যার শিকার হয়েছিলেন।
এটিএম/
Leave a reply