ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সুপার সিক্সের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে আগামীকাল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মুখোমুখি হবে শীর্ষে থাকা আবাহনী। কিন্তু মজার বিষয় জাতীয় দলে ১০ ক্রিকেটার যোগ দেবার পাশাপাশি দুই ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়ায় মূল স্কোয়াডে অবশিষ্ট আছে মাত্র ৬ ক্রিকেটার। ঢাকা লিগে টানা ১৩ ম্যাচ জেতা তারকা বহুল দল আবাহনী এখন হিমশিম খাচ্ছে একাদশ গঠন করতে।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাস, জাকের আলী অনিক, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন, তানভির ইসলাম ও তানজিম সাকিব এই ১০ ক্রিকেটার যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলে। এছাড়াও পেসার খালেদ আহমেদ ও ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ইনজুরিতে। তাইতো স্কোয়াডে মাত্র ৬ জয় ক্রিকেটার অবশিষ্ট আছে আবাহনীর। এখন পরিস্থিতেতে কিভাবে একাদশ গড়বে আবহনী? তাহলে কি বধ্য হয়ে দুই কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও রাজিন সালেহকে অবসর ভেঙ্গে নামতে হবে মাঠে?
জবাবে আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, না আসলে ওই বয়স তো নাই (নিজেই মাঠে নামবেন কিনা)। মন চায় খেলে ফেলি (হাসি)। কঠিন (এই বয়সে খেলা)। আসলে দল (গঠন) করাই কঠিন এখন। আমাদের ১০জন খেলোয়াড় নাই। খালেদ আর জয় ইনজুরিতে। কাজেই ১২টা খেলোয়াড় নাই। ৬ জন আছে, এই ৬ জনের সঙ্গে আগে আমি এনেছিলাম আরও তিনজন, তাদের এনেছি। তাই ৯ জন আছে। দেখি আরও দু-একজন পাওয়া যায় কিনা।
সুপার লিগের ৫ ম্যাচের মধ্যে হয়েছে দুই ম্যাচ। বাকি আছে আরও তিন খেলা। এই মুহুর্তে বাকি তিন ম্যাচ হারলেও আবাহনীর চ্যাম্পিয়ন হবার সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে সবার আগে মোহামেডানকে জিততে হবে তিনটি ম্যাচই। তখন পয়েন্ট সমান হবে দু’দলের। তখন বিবেচনায় আসবে রান রেটে। এই মুহুর্তে মোহামেডানের নেট রান রেট যেখানে ০.৩৮৯ সেখানে আবাহনীর ২.৪৪। তবে এখন জয় পরাজয়ের হিসেবে করার আগে একাদশ গড়াটাই মূল চ্যালেঞ্জ আবাহনীর জন্য।
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন,যখন আপনি শেখ জামাল আর মোহামেডানের বিপক্ষে খেলবেন কঠিন তো বটেই। কাগজে কলমে এখন (১০ খেলোয়াড় চলে যাওয়ায়) তারা আমাদের থেকে শক্তিশালী। আমি উদ্বিগ্ন না, লড়াই করব। ইচ্ছা তো ছিলো অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হবো। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।।
আবাহনীর ১০ আর অন্যান্য দল থেকে ৫ ক্রিকেটার নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামের তিন টি-টোয়েন্টির জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। ঘরের মাঠে দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫-০তে সিরিজ জেতা উচিৎ বলে মনে করেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
/আরআইএম
Leave a reply