তাওহীদ মিথুন:
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা বসছে সন্ধ্যায়। এতে গুরুত্ব পাবে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গ, এমনটা জানিয়েছেন দলের নীতি নির্ধারকরা। তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যেসব মন্ত্রী-এমপি তাদের সন্তান বা স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন, তাদের বিষয়েই হবে আলোচনা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত দিতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও উঠে আসবে সভায়।
৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। আর দ্বিতীয় ধাপের ভোট ২১ মে। এ দুই ধাপে অন্তত ২০ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপির সন্তান বা স্বজনরা। স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না, খোদ দলীয় প্রধানের এমন সিদ্ধান্তের পরেও তারা ভোটের মাঠে।
পরিস্থিতি যখন এই, তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ মঙ্গলবারের (৩০ এপ্রিল) সভায় উপেজলা নির্বাচনের প্রসঙ্গ গুরুত্ব পাওয়ার কথা বলছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সহিংসতামুক্ত, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। কীভাবে নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে সহযোগিতা করতে পারি, এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, নিরপেক্ষ থাকতে এমপি-মন্ত্রীদের দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কারও পক্ষে-বিপক্ষে নেয়া যাবে না। যে ভালো, যার জনপ্রিয়তা আছে সে নির্বাচন করুক। সে কারণে আমরা এবার মার্কা দিই নাই। দলের সাধারণ সম্পাদক যদি একটা নির্দেশ দেন তা শুনতে হবে, যদি দল করতে হয়।
ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতাদের সুযোগ দিতে এবং অংশগ্রহণমূলক ভোটের জন্য এবারের উপজলো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেয়নি আওয়ামী লীগ। সাধারণ সম্পাদক এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বললেও মাত্র তিনজন ছাড়া অন্যরা সাড়া দেননি। নিজ প্রার্থীকে জেতাতে মাঠেও প্রভাব খাটাচ্ছেন তারা।
এ অবস্থায় নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না এ নিয়ে সংশয় তৃণমূলে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, অতীতে অনেককে দলের শাস্তি প্রক্রিয়ায় আনা হয়েছে। বহিষ্কার করা হয়েছে, অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, দলের প্রাথমিক সদস্য পদ কেড়ে নেয়া হয়েছে। দলে ফেরার জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছে। মনোনয়নের সময় সে আসলো, যোগ্য কিন্তু দেয়া হলো না, এটা কী শাস্তি না?
/এমএন
Leave a reply