কক্সবাজার করেসপনডেন্ট:
কক্সবাজারের চকরিয়া খুটাখালী নদী থেকে আলোচিত সাড়ে ১২ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় এজাহার নামীয় আসামি শাহজাহান নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে টেকনাফের মিঠা পানির ছড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শাহাজাহান কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালীর বদিউল আলমের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ আলী।
তিনি জানান, সোমবার খুটাখালী নদীতে জেলের বেশ ধরে ট্রলার থেকে ইয়াবা উদ্ধারে অভিযান চালানোর সময় কৌশলে পালিয়ে গিয়েছিল পাচারকারীরা। তাদের মধ্যে অন্যতম এই শাহজাহান। মূলত ইয়াবাগুলো মিয়ানমার থেকে নদী পথে খুটাখালী হয়ে সারাদেশে পাচারের জন্য আনা হয়েছিলো বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে সে। তবে, এই মাদক কারবারের সাথে কারা জড়িত ও কোন প্রভাবশালী সিন্ডিকেট জড়িত আছে কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৯ এপ্রিল) উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বহলতলী নদীর মোহানা এলাকায় একটি বোটকে গতিরোধ করে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। টেকনাফ থেকে সমুদ্রপথে পাচার হচ্ছিল এসব মাদক। জব্দ করা হয় ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। প্রতি পিস ইয়াবা তিনশ টাকা হারে জব্দকৃত এই ইয়াবার বর্তমান বাজারমূল্য ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এরপর ইয়াবাভর্তি প্লাস্টিকের পাঁচটি ড্রাম কেটে একে একে বের করা হয় অত্যাধুনিক মোড়কের ১২৫টি কার্ড বা পোটলা। এসব পোটলার প্রতিটিতে ১০ হাজার পিস করে সর্বমোট ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবার চালান জব্দ করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, বিপুল ইয়াবা পাচার হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম নিয়ে জেলের ছদ্মবেশে অভিযান চালায়। অভিযানে মাদক পাচারকারীদের ট্রলারটি ধাওয়া করলে পাচারকারীরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, এটি ছিল কক্সবাজারের দ্বিতীয় বৃহৎ ইয়াবার চালান উদ্ধারের ঘটনা।
এর আগে, ২০২১ সালে দুই দফা অভিযান চালিয়ে ১৭ লাখ ৭৫ হাজার পিস ইয়াবা ও ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা উদ্ধার করেছিল কক্সবাজার পুলিশ। সেটি ছিল এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান জব্দের ঘটনা।
/এমএইচ
Leave a reply