উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিনের গরম ফুরোয় রাতের শীতে

|

পঞ্চগড় করেসপনডেন্ট:

‘হিমালয় কন্যা’ খ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে সারাদেশের মতো চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দিনভর প্রখর রোদ ও ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয় এ জেলায়। তবে সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে মৃদু ও শীতল হাওয়া বিরাজ করে এ জেলায়। ফলে, দিনে গরম থাকলেও রাতের শীতল পরিবেশে কেটে যায় দিনের ক্লান্তি।

গত এক সপ্তাহ ধরে পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। দিনের বেলা এ জেলায় বাতাসের আদ্রতা ২১ থেকে ৬০ শতাংশ হওয়ায় কখনও হালকা গরম আবার কখনও বেশী অর্থাৎ ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়। ফলে, সারা দেশের আবহাওয়ার সাথে উত্তরের এই জেলাটির আবহাওয়ার অবস্থা কিছুটা ভিন্ন।

আবহাওয়া অফিস বলছে, এ জেলার উত্তরে হিমালয় পর্বতসহ বিভিন্ন পাহাড় ও পাহাড়ি অঞ্চল অবস্থিত। জেলাটি যেহেতু হিমালয় পর্বত থেকে নিচে অবস্থিত তাই যখন হিমালয়ের হিম শীতল বাতাস এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় তখন এখানে শীতল পরিবেশ বিরাজ করে। ফলে দেশের অন্যান্য জেলার সঙ্গে এখানের তাপমাত্রার কিছুটা তারতম্য দেখা দেয়। তাই রাতের বেলা শীতল বাতাস এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় এবং এখানে শীতল পরিবেশ বিরাজ করে। 

স্থানীয়রা বলেন, সারাদিন প্রখর রোদ্র ও ভ্যাপসা গরম থাকলেও বিকলের পর থেকে হালকা বাতাস দেখা দেয়। অনেক সময় রাতের বেলা তার তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে হালকা শীতও অনুভূত হয়। শেষ রাতে শরীরে নিতে হয় গরম কাপড় অথবা পাতাল কম্বল। আবার অনেকে গরমের মাঝে ফ্যান চালালেও শীতে সেটিও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

এদিকে স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা বলছেন, যেহেতু এ জেলা থেকে হিমালয় পর্বত অনেক কাছাকাছি এবং প্রকৃতিতে সবুজ সমারহ বিরাজমান তাই এমন আবহাওয়া বিরাজ করছে। তাই সবুজ সমারোহ কর্তন রোধে সচেতন থাকা উচিত। 

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply