উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। চেনা আঙিনায় ম্যাচের প্রথমার্ধে স্বাগতিক সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান নিকলাস ফুলক্রুগ। বিরতির পর আক্রমণের জোয়ার বইয়ে দেয় ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু পোস্টের বাধায় কাঙ্ক্ষিত গোল পায়নি পিএসজি। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ড।
বুধবার (১ মে) নিজেদের ঘরের মাঠ সিগনাল এদুনা পার্কে পিএসজিকে আতিথ্য জানায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকে স্বাগতিকরা। ষষ্ঠ মিনিটে গোল মুখে শট নিয়েছিলেন সানচো। সফরকারীরা দলটি অবশ্য দারুণভাবে সেটি ক্লিয়ার করে দেয়। ১১ মিনিটে দেম্বেলে নিচু শট নিলেও সেটা চলে যায় লক্ষ্যের বাইরে দিয়ে।
ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। নিজেদের অর্ধ থেকে নিকো শ্লটারবেক লম্বা করে বল বাড়ালে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন ফুলক্রুগ। এরপর বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান এই জার্মান ফরোয়ার্ড। এই মৌসুমের আগে কখনও চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলেননি ফুলক্রুগ। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ছয়টি গোলে (৩ গোল, ৩ অ্যাসিস্ট) সম্পৃক্ত থাকলেন ৩১ বছর বয়সী এই ফুটবলার। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতির পর নতুন উদ্যমে শুরু করা পিএসজি গোল পেয়ে যেতে পারতো ৫১ মিনিটেই। তবে দুর্ভাগ্যবশত পরপর দুইবার বল লাগে পোস্টে। প্রথমে এমবাপ্পের শট লাগে দূরের পোস্টে, ডর্টমুন্ড রক্ষণ বল বিপদমুক্ত করতে না পারার এক পর্যায়ে পেয়ে যান আশরাফ হাকিমি। তাঁর শট লাগে আরেক পোস্টে।
৬০ মিনিটে ফুলক্রুগ দ্বিতীয় গোলটিও পেতে পারতেন। ডান প্রান্ত দিয়ে জেডন সানচোর সঙ্গে দারুণ সন্বয়ের পর সুযোগ তৈরি করলেও এই স্ট্রাইকার সেটি মারেন বারের ওপর দিয়ে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল মার্সেল সাবিটাইজারেরও। কিন্তু তার ক্লোজ রেঞ্জের ভলি দারুণ দক্ষতায় সেভ করেন পিএসজি গোলকিপার দোন্নারুম্মা।
৭২তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ পান দেম্বেলে। এমবাপ্পের পাসে সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের শট ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক। ৮০তম মিনিটে তার আরেকটি শট উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। শেষ দিকে পিএসজি গোলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও ডর্টমুন্ড রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে সেটি রুখে দেয়। শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে সেমিফাইনাল লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই।
/আরআইএম
Leave a reply