দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে এলো স্বস্তির বৃষ্টি। তবে তা মুষলধারায় না হলেও উচ্ছ্বসিত রাজধানীবাসী। কারণ, টানা এক মাসের তাপপ্রবাহে রাজধানীর জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে কাঙ্ক্ষিত বর্ষণে কমে আসে পুরো ঢাকার তাপমাত্রা। রাত ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরা, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, সদরঘাট, ইসলামপুরসহ আশপাশের একাধিক এলাকায় বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। রাত ১২টার দিকে বারিধারা, ভাটারা, কুড়িল এলাকায় শুরু হয় ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি।
বহু প্রতীক্ষিত এই বৃষ্টিতে ভিজে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় অনেককে। বৃষ্টির আহ্বান উপেক্ষা করতে পারেনি বৃষ্টিপ্রেমিরা। বাসার ছাদ থেকে ভিজে ভিজে শেষমেশ নেমে এসেছেন রাস্তায়। হাতিরঝিলে নেচে-গেয়ে করেছেন বৃষ্টিবিলাস উদযাপন।
তাদের একজন বলেন, খুব করে চাচ্ছিলাম, বৃষ্টি হোক। যখন বৃষ্টি শুরু হলো, আমি বন্ধুদের কল দিলাম। তারাও বৃষ্টিস্নাত হতে চলে এলো। আরেকজন বলেন, বহু দিন ধরে প্রতীক্ষা করছি, বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হবে হবে করেও হচ্ছিল না। অবশেষে অনেক প্রতীক্ষার পর হলো এই বৃষ্টি। খুব খুশি লাগছে বলে জানান তারা।
এই ক্ষণিক বৃষ্টিহীনতার শহরে রাতে আকাশ ভেঙে নামে বৃষ্টি। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে বাড়ে মেঘের গর্জন আর বৃষ্টির মাত্রা। থেমে থেমে হলেও নগরীর প্রায় সমস্ত এলাকার মানুষ পান শীতলতার ছোঁয়া। আরাধ্য বৃষ্টির দেখা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা প্রায় সবাই। দাবদাহ থেকে মুক্তি মেলায় উচ্ছ্বাস তাদের কণ্ঠে।
একজন রাজধানীবাসী বলেন, এটা খোদার রহমত। বৃষ্টি যখন নামার কথা, তখনই নামলো। অনেক আনন্দ লাগছে। আরেকজন বলেন, জনজীবন বিপর্যস্ত ছিল তীব্র গরমে। অনেকে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছে বৃষ্টির জন্য। এতোদিনের কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিটা অবশেষে আজ হলো। ভালো লাগছে।
রাত ৩টায় নগরীতে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের তথ্য রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন ঝড়-বৃষ্টি বেড়ে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
/এএম
Leave a reply