যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ ১টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ১০৭টি কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানে। সবার চোখ লন্ডন শহরের মেয়র পদের ফলাফলের দিকেও। তবে এই নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি। অপরদিকে গত চার দশকে নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। খবর বিবিসি।
এমনকি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিও ফলাফলের বিশ্লেষণে হারিয়ে দিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টিকে। শনিবার (৪ মে) স্থানীয় সময় বেলা ২টা পর্যন্ত ১০৭টি কাউন্সিলের মধ্যে ১০৩টি কাউন্সিলের ফলাফল প্রকাশিত হয়। সবশেষ ফলাফলে দেখা যায়, লেবার পার্টি ১ হাজার ৬১টি কাউন্সিলর পদে জয় লাভ করেছে। ৫০৮টি কাউন্সিলর পদে জয় পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। অপরদিকে ৫০৪টি কাউন্সিলর পদ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।
লন্ডনের মেয়র পদের দিকেও রয়েছে সবার চোখ। এখানে টানা দুবার নির্বাচিত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান পুনরায় বিজয়ী হলে তিনি হবেন লন্ডন শহরের মেয়র পদে হ্যাটট্রিক করা প্রথম কোনো মেয়র। অপরদিকে কনজারভেটিভ পার্টির সোসান নির্বাচিত হলে তিনি হবেন লন্ডন শহরের প্রথম নারী মেয়র।
নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গণমাধ্যমে বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লেবার পার্টি বড় জয় পেলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ কনজারভেটিভ পার্টিকেই ভোট দেবে। কারণ, কনজারভেটিভ পার্টি আলোকিত ব্রিটেন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। অপরদিকে স্থানীয় নির্বাচনে ভালো করা লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণ জানিয়ে দিয়েছেন তারা পরিবর্তন চান।
উল্লেখ্য, স্থানীয় নির্বাচনে ভালো ফলাফল করায় ঋষি সুনাককে উদ্দেশ্য করে আগাম জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি।
/এমএইচআর
Leave a reply