অসহায় ও গুরুতর আহত লোকদের চিকিৎসার নামে মিল্টন নিজেই ব্লেড দিয়ে অপারেশন করতো বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, আশ্রমে টর্চার সেল করে বৃদ্ধ মানুষদের নিয়মিত মারধর করা হতো। অন্যের কষ্ট দেখে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন।
রোববার (৫ মে) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে একথা জানান তিনি। এ ঘটনার দায় তার স্ত্রী এড়াতে পারবে না বলেও সাংবাদিকদের জানান হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, আলোচিত মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিতু হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি। মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী একজন নার্স হয়েও, ‘চাইল্ড এন্ড এজ কেয়ারে’ তার স্বামীর পৈশাচিক কাজের প্রতিবাদ করেনি। ফলে এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই তার স্ত্রী মিতু হাওলাদারের। মিল্টনের অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা আছে বলেও জানানো হয় ব্রিফিংয়ে।
কয়েকঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিল্টনের স্ত্রী মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। বলেন, আইন অনুযায়ি বিচার হবে মিল্টনের। সে দোষি কিনা তা প্রমাণ করবে আদালত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি ও আর্থিক অনিয়ম, জমি দখল, নির্যাতনসহ অনেক অভিযোগ ওঠে। এরপরই সামাজিকমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। তার মধ্যে, ডিবির দায়ের করা মামলায় গত ২ মে মিল্টনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
মিল্টন সমাদ্দার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম আলোচনায় আসেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের একটি বৃদ্ধাশ্রম গড়ার মাধ্যমে। রাস্তা থেকে অসুস্থ ও ভবঘুরেদের কুড়িয়ে ওই বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় দেন তিনি ও তার দল। এসব কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকারি-বেসরকারি নানা পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। সামাজিকমাধ্যমে তার এসব কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রচারণা রয়েছে।
/এমএইচ
Leave a reply