সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা কিংবা শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে আজ সোমবার (৬ মে) তিনি এ কথা জানান। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং কোটার ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে সম্প্রতি সুপারিশ করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এ বিষয়ে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেন।
পরে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এ সুপারিশ করেছেন। এ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ই সিদ্ধান্ত নেবে।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই ইস্যুতে আন্দোলন করছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একটা অংশ। এর মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিলে চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই আশার আলো দেখতে পান। গত শুক্রবার (৩ মে) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ ও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩৭ বছর করতে আগামী ১১ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন।
এছাড়া, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ বছর করা হয়েছে। আর দেশে গড় আয়ু বাড়ায় সরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষকসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চাকরিজীবীদের অবসরের বয়স বাড়ানোর কথা বলছেন অনেকে।
/এমএন
Leave a reply