কষ্টার্জিত জয়ে ২ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ

|

ফাইল ছবি

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় খেলায় জিম্বাবুয়েকে ৯ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিলো বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে তাওহিদ হৃদয়ের নান্দনিক অর্ধশতকের ওপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও রিশাদ হোসেনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ৯১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। তবে একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান ফারাজ আকরাম। তার ১৯ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেছিল বাংলাদশ। প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে চার মেরে রানের খাতা খোলেন লিটন দাস। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি। মুজারাবানির করা বলে স্কুপ খেলতে গিয়ে ব্যাটে লেগে ইন সাইড এজ হয়ে স্টাম্প ভেঙে যায় লিটনের। ফলে ১৫ বলে ১২ রান করেই ফিরতে হয় তাকে।

পরের ওভারে সিকান্দার রাজাকে চার মেরে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন বল পরে রাজার স্কিড করে ভেতরে ঢোকা আর্ম বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। ফলে ৪ বলে ৬ রান করেই ফিরতে হয় তাকে। এরপর একপ্রান্ত আগলে রাখা তানজিদ হাসান তামিমও হতাশ করেছেন টাইগার ভক্তদের।

তাকে নিজের শিকার বানিয়েছেন ফারাজ আকরাম। উইকেট থেকে বেরিয়ে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্লাইভ মাদান্দের হাতে ক্যাচ দেন তামিম। ফলে ২২ বল ২১ রানের ইনিংস শেষ হয় তার। এরপর বাংলাদেশের ইনিংস টানেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিক। হৃদয় শুরুতে ধরে খেললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাতখুলে খেলতে থাকেন। ৩৪ বলে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। জাকের অবশ্য ক্রেইগ আরভিন ও ব্র্যায়ান বেনেটের ভুল বোঝাবুঝিতে জীবন পেয়েছেন মিড উইকেটে।

১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্কুপ করে মুজারাবানিকে ৪ মারেন হৃদয়। পরের বলেই দারুণ এক ইয়র্কারে তাকে বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের এই পেসার। ফলে হৃদয়ের ইনিংস শেষ হয় ৩৮ বলে ৫৭ রানে। দুই বল পর আরেকটি ইয়র্কারে জাকেরের স্টাম্প ভাঙেন মুজারাবানি। হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থেকে আউট হয়েছেন জাকের। মাত্র ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার মুজারাবানি। টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার সেরা বোলিং। শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রিশাদ হোসেন মিলে ১৬ রান নিলে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৫ রানে।

১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায়নি জিম্বাবুয়ে। সফরকারীরা দলীয় ৫০ রানের আগেই হারায় উপরের সারির ৪ ব্যাটারকে। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন তাদিওনাশে মারুমানি। এই ওপেনার আউট হয়ে ফিরে গেলে আবারও শুরু হয় ব্যাটারদের আসা যাওয়া।

ক্লাইভ মাদান্দে ১১ ও জোনাথন ক্যাম্পবেল ফেরেন ২১ রান করে। ৯১ রানে ৮ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও জিম্বাবুয়েকে জয়ের পথে রেখেছিলেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ফারাজ আকরাম। এই দুজনে ২৮ বলেই পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন। শেষ দুই ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। 

যদি তাসকিন আহমেদের করা ১৯তম ওভারে মোটে ৬ রান নিতে পারেন এই দুই ব্যাটার। ২০তম ওভারের প্রথম বলেই মাসাকাদজা ১৩ রান করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলে এই জুটি ভাঙে ৫৪ রানে। সেই সঙ্গে জিম্বাবুয়ের জয়ের আশাও নিভে যায়। শেষ পর্যন্ত তারা হারে ৯ রানের ব্যবধানে।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply