ম্যাচ তখন যোগ করা সময়ের ১৩তম মিনিট চলছিল, এমন সময়ে রিয়ালের জালে বল জড়ান বায়ার্ন সেন্টারব্যাক ম্যাথিয়াস ডি লিট। তবে বল জালে জড়ানোর আগেই লাইনসম্যান অফসাইডের পতাকা তোলেন। গোলটি বাতিল হয়। তখন মাঠেই প্রতিবাদ জানান বায়ার্ন মিউনিখের কোচ টমাস টুখেলসহ ক্লাবটির খেলোয়াড়েরা। ম্যাচ শেষে লাইন্সম্যান ডি লিটের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বলে দাবি করেন ডাচ তারকা।
ডি লিট বলেন, নিয়ম অনুযায়ী, অফসাইড নিশ্চিত না হলে…খেলা চালিয়ে যেতে হবে। আর শেষ মিনিটে এভাবে বাঁশি বাজানো, আমার মনে হয় এটা বড় ভুল। অফসাইড হয়েছে কি না, আমি জানি না, সেটা ভিএআর পরীক্ষা করতে পারে। কিন্তু এটা (অফসাইড) পরীক্ষা করে না দেখলে বুঝলেন কীভাবে? এটা লজ্জার।
লাইন্সম্যানের ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারটি বলেন টুখেলও। তবে তার ক্ষোভ তাতে প্রশমিত হচ্ছে না একটুও। রেফারি-লাইন্সম্যানের দিকে সরাসরিই আঙুল তুললেন বায়ার্ন মিউনিখ কোচ। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, এটা বেশ পরিষ্কার এবং এখানে কোনো সংশয়ই নেই যে, এই সিদ্ধান্ত আধুনিক ফুটবলের বিরুদ্ধে। খুবই বাজে, একদমই বিপর্যস্ত সিদ্ধান্ত। রিয়ালের দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে, তারা (রেফারিরা) খেলা চালিয়ে যেতে দিয়েছে। নিয়মে পরিষ্কার আছে, খেলা চলতে থাকবে। প্রথম ভুলটা করেছে লাইন্সম্যান, দ্বিতীয় ভুল রেফারির।
তিনি আরওম বলেন, খুবই কঠিন (মেনে নেয়া)… খেলাধুলার মানুষ হিসেবে অবশ্যই এসব আমাদেরকে মেনে নিতেই হয়। তবে এটা সেমি-ফাইনাল, এখানে এরকম দুটি ভুল গ্রহণযোগ্য নয়। এসব ম্যাচে সবাইকে নিজের চূড়ায় থাকতে হয়, রেফারিরাও এর বাইরে নয়। এরকম কিছুই আমরা প্রত্যাশা করি। ক্ষমা চেয়ে তাই লাভ নেই।
ম্যাচের ৭১ মিনিটেও ভূমিকা রেখেছে ভিএআর। বায়ার্ন তখন ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে। রিয়াল তখন গোল পেলেও ভিএআর এর মাধ্যমে দেখা যায়, বায়ার্নের জশুয়া কিমিখকে ফেলে দিয়েছিলেন রিয়াল অধিনায়ক নাচো ফার্নান্দেজ। ফাউল করায় গোলটি বাতিল করে দেয় ভিএআর।
/আরআইএম
Leave a reply