মুশফিকুর রহিম। হার্ডওয়ার্কিং, ডেডিকেশন ও প্যাশনে অন্য সবার থেকে আলাদা এক নাম। টেকনিক, পরিপাটি ব্যাটিং শৈলি কিংবা নিশ্ছিদ্র ডিফেন্সে উদাহরণ হয়ে আছেন দেশের ক্রিকেটে। মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ক্রিকেটার ৩৭ বসন্ত পেরিয়ে ৩৮তম বসন্তে পা রাখলেন তিনি।
১৯৮৭ সালের ৯মে বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন মুশফিক। বগুড়া জিলা স্কুল এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন এই ক্রিকেটার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন ইতিহাসের ছাত্র মুশফিকুর রহিম। ইচ্ছে আছে উপমহাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করার।
ধৈর্য, অধ্যবসায় ও একাগ্রতার মিশেলে তৈরি মুশফিক। লম্বা সময় ধরে টাইগার ক্রিকেট উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার আছেন অন্যতম স্তম্ভ হয়ে। দলকে এখনও বড় কোনো শিরোপা জেতাতে না পারলেও দেশের ক্রিকেটে মুশফিকের অবদান খাটো করে দেখার অবকাশ নেই।
২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মুশফিকের নেতৃত্বে খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মতো তারকারা। সেই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০০৯ সালের জিম্বাবুয়ে সফরে মুশফিক বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এখন পর্যন্ত ৪৬১টি ম্যাচ খেলে ১৪ হাজার ৯শ’ ৬৮ রান করেছেন মুশফিক। টেস্টে ১০টি ও ওয়ানডেতে আছে ৯টি সেঞ্চুরি। তার ক্যারিয়ারে আছে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি। মুশফিকের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে টেস্ট জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এত অর্জনের ভীরেও মুশফিক অনন্য হয়ে আছেন তার অনবদ্য রেকর্ডের জন্য। তিনিই একমাত্র উইকেটকিপার ব্যাটার যার টেস্টে দু’টি ডবল সেঞ্চুরি রয়েছে। পাশাপাশি তিনিই একমাত্র উইকেটরক্ষক ক্যাপ্টেন যিনি কিনা প্রতিপক্ষের মাঠে করেছেন ডবল সেঞ্চুরি।
/আরআইএম
Leave a reply