ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৪৭ রানে হারিয়ে প্লে-অফের স্বপ্ন ভালোভাবেই জিইয়ে রেখেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। আগে ব্যাট করতে নেমে রজত পাতিদারের ঝড়ো ফিফটিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। লক্ষ্য তাড়ায় আরসিবি বোলারদের সুনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫ বল বাকি থাকতেই ১৪০ রানে গুটিয়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। ফলে শেষ পাঁচ ম্যাচে টানা পাঁচ জয় পাওয়া দলটি এখন পয়েন্ট টেবিলে ৫ নম্বরে উঠে এসেছে।
রোববার (১২ মে) এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক অক্সার প্যাটেল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভিরাট কোহলির সৌজন্যে উড়ন্ত সূচনা পায় ব্যাঙ্গালুরু। যদিও চতুর্থ ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় দলটি। লাল-নীল শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মুকেশ কুমার। ৭ বলে ৬ রান করা ফাফ ডু প্লেসিকে বিদায় করেন তিনি।
এর এক ওভার পর ইশান্ত শর্মার গুড লেংথের ডেলিভারি কোহলির ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক অভিষেক পোরেলের তালুবন্দী হয়ে যায়। একটি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৩ বলে ২৭ রান করেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক কোহলি। এরপর ৩য় উইকেট জুটিতে ৮৮ রান যোগ করেন উইল জ্যাকস এবং রজত পতিদার। এই জুটি ভাঙেন রাসিখ সালাম। ৩২ বলে তিনটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫২ রান আসে রজতের ব্যাটে। ঠিক এক ওভার পর বিদায় নেন জ্যাকসও। রজতের মতোই কাভারে আক্সার প্যাটেলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। ২৯ বলে ৪১ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান কুলদিপ যাদব।
দিল্লির বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সামনে শেষদিকে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ব্যাঙ্গালুরু। শেষ দিকে ক্যামেরন গ্রিনের ২৪ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসে দুইশ’র কাছাকাছি যায় তাদের ইনিংস। দিল্লির হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রাসিখ এবং খলিল আহমেদ। একটি করে উইকেট নেন ইশান্ত, মুকেশ এবং কুলদিপ যাদব।
১৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসেবে ডেভিড ওয়ার্নারকে নামায় দিল্লি। গত চার ম্যাচ সাইড বেঞ্চে বসে থাকা এই ওপেনার এ দিন ফিরে যান চতুর্থ বলেই। স্বপ্নিল সিংয়ের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লং অনে উইল জ্যাকসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। ১ রান করে ওয়ার্নার বিদায় নিলে স্কোরবোর্ডে ৩০ রান তুলতে আরও চার উইকেট হারায় দিল্লি।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক এ দিন আট বলে দুটি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ২১ রানের বেশি করতে পারেননি। রানআউট হয়ে ফিরে যান তিনি। ৩.৩ ওভারের মধ্যে দ্রুত চার উইকেট হারানো দলটির হয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন শাই হোপ ও আক্সার প্যাটেল।
এই দু’জনের ৫৬ রানের জুটি ভাঙেন লকি ফার্গুসন। কার্ন শর্মার দারুণ একটি ক্যাচে বিদায় নেন ২৩ বলে ২৯ রান করা হোপ। এই জুটি ভাঙার পর আর সুবিধা করতে পারেনি দিল্লি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে হারাতে দলটি থামে ১৯.১ ওভারে, ১৪০ রান করে।
দু’বার স্লো ওভার রেটের কারণে অভিযুক্ত হওয়া রিশাভ পান্ত ম্যাচটি খেলেননি। তার জায়গায় নেতৃত্ব দেয়া আক্সার দলটির হয়ে ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন। তবে এই রান কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ২০ রান খরচায় তিন উইকেট নেন ইয়াশ দয়াল। ২৩ রান খরচায় দুই উইকেট নেন ফার্গুসন।
/আরআইএম
Leave a reply