আকাশে মেঘের গর্জন মানেই আতঙ্ক। দুশ্চিন্তায় পড়েন বজ্রাঘাতে নিহতদের স্বজনরা। তাদের কেউ হারিয়েছেন স্বামী, কেউবা সন্তান। স্বজন হারানোর এই যন্ত্রণা ভুলতে পারছেন না তারা। তাদের খোঁজও রাখে না কেউ।
২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল। বজ্রাঘাতে স্ত্রী আর মেয়েকে চোখের সামনেই মরতে দেখছেন কিশোরগঞ্জের বেলঙ্কা গ্রামের মজিবুর রহমান। এরপর পেরিয়েছে দু’বছর। ওলোটপালোট মজিবুর রহমানের জীবন। জানালেন সেদিনের কথা মনে পড়তেই আঁতকে ওঠেন। সেদিন মা হারা হয়েছিল ১২ বছরের শিশুটি। বজ্রপাত হলেই বেড়ে যায় আতঙ্ক। পরিবারের বাকি সদস্যদের অবস্থাও তাই।
খাগড়াছড়িতে সম্প্রতি বজ্রপাতে বাড়িতে আগুন ধরে যায়। ছেলেসহ পুড়ে মারা যান মা হাসিনা। প্রাণে বাঁচে এক সন্তান। স্ত্রী-সন্তান হারিয়ে হতদরিদ্র ছাদেক আলী এখন দিশেহারা। চলছে ঘুরে দাড়ানোর সংগ্রাম। অনিশ্চয়তায় বড় ছেলের জীবন।
বজ্রাঘাতে কেউ হারাচ্ছেন স্বামী, কেউবা সন্তান- কিংবা স্বজন। এতে বাড়ছে উদ্বেগ। হাওর-বাওড় অধ্যুষিত জেলাগুলোয় মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক। প্রাণহানি ঘটছে দেশজুড়েই।
এটিএম/
Leave a reply