টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোন রেকর্ড কার দখলে?

|

দামামা বাজতে চললো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ২০০৭ সালে বিশ্বমঞ্চে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের লড়াই প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয়। সেবার মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইন্ডিয়া। এরপর মাঠে গড়িয়েছে আরও সাত আসর। সময়ের সঙ্গে জমজমাট হয়েছে লড়াই, বেড়েছে টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে খেলা মাত্র দুইজন ক্রিকেটার খেলছেন এবারের বিশ্বকাপেও। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বাংলাদেশের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসানের নামের পাশে যোগ হচ্ছে এই বিরল কীর্তি। ম্যাচ খেলার বিচারে অবশ্য এগিয়ে রোহিত। বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৩৯ ম্যাচে মাঠে নেমেছেনে হিটম্যান। ৩৬ ম্যাচ খেলা সাকিবের অবস্থান দ্বিতীয়তে। এরপর আছেন ৩৫ ম্যাচ খেলা দিলশান। ব্রাভো, আফ্রিদি, মালিক ও ওয়ার্নার খেলেছেন ৩৪টি করে ম্যাচ।

টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক ভিরাট কোহলি। তার নামের পাশে রয়েছে এক হাজার ১৪১ রান। হাজার রান পেরোনো অপর ব্যাটার মাহেলা জয়াবর্ধনে আছেন তার পরের অবস্থানে। বিশ্বকাপে এই লঙ্কান কিংবদন্তির রান এক হাজার ১৬। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ক্রিস গেইলের রান ৯৬৫। রোহিত শর্মা ৯৬৩ রান নিয়ে আছেন এর পরই। পঞ্চম অবস্থানে থাকে আরেক লঙ্কান দিলশানের রান ৮৯৭।

সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকাতে সবাইকে ছাপিয়ে শীর্ষে আছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার ঝুলিতে রয়েছে ৪৭ উইকেট। এরপরই রয়েছে ৩৯ উইকেট পাওয়া পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি ও ৩৮ উইকেট শিকারি লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। বর্তমানে খেলছেন এমন কেউই নেই সাকিবের ধারেকাছে।

ব্যাট হাতে ঝড় তুলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের তালিকায় সবার উপরে ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম। ২০১২ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৮ বলে ১২৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপরই আছেন ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইল। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার ১১৭ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তিনে রয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ২০১৪ বিশ্বকাপে অ্যালেক্স হেলসের অপরাজিত ১১৬ রানের ইনিংসটি। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা গেইলের ৪৭ বলে সেঞ্চুরিটি এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে এখনও দ্রুততম।

ছোট সংস্করণের বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৬৩ ছক্কার মালিকও ইউনিভার্স বস গেইল। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রোহিত শর্মার সঙ্গে তার ব্যবধানটা অনেক বেশি। রোহিত এই সংস্করণের বৈশ্বিক আসরে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৩৫টি। বিশ্বকাপের প্রথম আসরে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ৬ ছক্কা হাঁকানো যুবরাজও আছেন এই তালিকায়। তিনে থাকা বাটলার ও যুবরাজ ৩৩টি করে ছক্কা মেরেছেন।

বিশ্বকাপে সেরা বোলিং ফিগারটা লঙ্কানদের দখলে। অজান্থা মেন্ডিসের ৮ রানে ৬ উইকেট এখনও আছে ‘অপরাজিত’। মাত্র ৩ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তারই স্বদেশি রঙ্গনা হেরাথ। এরপরই রয়েছে ২০০৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওভারে ৬ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করা পাকিস্তানি পেসার উমর গুল।

টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ডিসমিসালসের মালিক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। গ্লাভস হাতে ২১ ক্যাচের পাশাপাশি ১১ বার স্টাম্পিং করেছেন এই ভারতীয়। এবারের আসরে খেলবেন এমন উইকেটরক্ষকের মধ্যে সেরা পাঁচে রয়েছেন একমাত্র কুইন্টন ডি কক। এই প্রোটিয়া উইকেটরক্ষকের ডিসমিসাল রয়েছে ২২টি। আর ফিল্ডার হিসেবে সর্বাধিক ২৩ ক্যাচ নেয়ার রেকর্ডটা আছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দখলে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। আট আসরের মধ্যে ক্যারিবীয় ও ইংলিশরা দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারত।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply