ধস নেমেছে দেশের পুঁজিবাজারে। ক্রেতা নেই অনেক কোম্পানির শেয়ারের। টানা পতনে একেবারেই নিঃস্ব বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী। শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছাড়ছে অনেকে। ঘন ঘন নীতির পরিবর্তন, লেনদেনে হস্তক্ষেপ আর গেইন ট্যাক্স আরোপের খবর পতনের জন্য দায়ী বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু। সেই থেকেই দরপতন চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। দিন গড়ানোর সাথে বাড়ছে পতনের তীব্রতা, সেই সাথে বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পরিমাণ।
সপ্তাহের প্রথম দিনেও বড় পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। সূচক কমেছে ৮৬ পয়েন্টের বেশি। আড়াইশোর বেশি কোম্পানির কোনো ক্রেতাই ছিলো না। টানা পতনে বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। আর যারা মার্জিন ঋণ নিয়েছে তাদের অবস্থা আরও নাজুক।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘন ঘন নীতির পরিবর্তনে পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। গুজব আর ফোর্স সেলও চরমভাবে ক্ষতি করছে পুঁজিবাজারকে। মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ছায়েদর রহমান বলেন, সকল পলিসি এতো বেশি সুইচিং হচ্ছে, এছাড়া ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়েও যে নেতিবাচক প্রচারণা, তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের প্রভাব ফেলছে। ইতিবাচক পিলিসি ছাড়া পুঁজিবাজারকে দাঁড় করানো কঠিন।
এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী বলেন, ১৫ দিন ধরে বাজারে এক ধরনের প্রচারণা চলছে গেইন ট্যাক্স আসছে। পিলিসি শিফট, ইন্টারভেনশন, মার্জিন রুল এসব যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ বাজারের গতি ফিরে পেতে বিশাল সমস্যা হবে।
এমনিতেই চরম সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে। এমন অবস্থায় মূলধনী মুনাফা ওপর কর আরোপ করা হলে বাজারে বিনিয়োগকারী কমবে বলেও আশঙ্কা সংশ্লিষ্টরা।
এটিএম/
Leave a reply