রাজধানীতে দেড় শতাধিক সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি: বর্ষায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা

|

আরিফুর রহমান সবুজ:

ঢাকার তাঁতীবাজার থেকে বংশাল সড়কে যাতায়াতে আঁতকে উঠেন পথচারীরা। সড়ক নাকি বিধ্বস্ত কোনো নগরী যেন তাদের বুঝে উঠা কঠিন। কারণ, ড্রেনেজ নির্মাণে গত বছরের জুলাইয়ে দেড় কিলোমিটারের ওই সড়কের একপাশের প্রায় অর্ধেক অংশজুড়ে শুরু হয় খোঁড়াখুঁড়ি। এতে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে।

মতিঝিল থেকে টিকাটুলি সড়কে আরও বেহাল দশা। সড়কটির একপাশ কেটে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ করেছে ওয়াসা। সেই কাজ শেষ হতে না হতেই এখন চলছে ডিপিডিসি’র মাটির নিচ দিয়ে কেবল স্থাপনের কাজ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সমন্বয় সেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেবল স্থাপনের কাজটি শেষ হবার কথা গত ৩০ এপ্রিল। অথচ চায়নার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজই শুরু করেছে এপ্রিলের শেষ দিকে।

সাব-ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিলফুল গ্রুপের এক কর্মকর্তা জানান, আর্থিক বিষয় নয়, ঠিকাদারের হয়তো লোকসংখ্যা কম থাকে।

এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে এমন সড়কের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। সময়মতো কাজ শেষ না করায় জরিমানা করেও কোনো ফল মিলছে না।

এ বিষয়ে সম্প্রতি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নুর তাপস বলেছিলেন, চলতি বছরে ৩০ এপ্রিলের পর সড়ক খোঁড়াখুঁড়িতে কোনো অনুমোদন দেয়া হবে না। এ বিষয়ে আমরা কঠোর থাকবো, যতই চাপ আসুক না কেন।

একই চিত্র ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায়ও। মনিপুরী পাড়া, মিরপুর বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় করপোরেশনের ৩৪টি এবং বিভিন্ন সেবা সংস্থার আরও ৪৬টিসহ মোট ৮০টি সড়কে খোঁড়াখুড়ি চলছে। বর্ষায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা নগর পরিকল্পনাবিদের।

ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, এক বর্ষায় যদি কাটাকাটি-খোঁড়াখুড়ি বন্ধ রাখা যায়, তাহলে এই বার্তা স্পষ্ট হতো কেউ চাইলে ফি আর জরিমানা দিয়ে রাস্তা কাটাকাটির যে বিলাসিতা তা এই বাংলাদেশে সম্ভব না।

সিটি করপোরেশন, ওয়াসা ও বিভিন্ন সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে প্রতিবছরই এমন দূর্ভোগ পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply