ঝিনাইদহ করেসপনডেন্ট:
ঝিনাইদহে ডাকাতিকালে বাধা দেয়ায় ফাতেমা বেগম (৪৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক নারী।
শুক্রবার (২৪ মে) রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার খালকুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ফাতেমা প্রবাসী আবেদ আলীর স্ত্রী। আহত বিথি খাতুন (১৮) আবেদ আলীর ছেলে প্রবাসী মেহেদী হাসানের স্ত্রী ।
আটককৃতরা হলেন, সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বেতাই দুর্গাপুর গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে সাগর হোসেন ও ছোট ঝিনাইদহ গ্রামের ফেলু সরকারের ছেলে সুশান্ত সরকার।
পুলিশ, এলাকাবাসী এবং গান্না ইউপি মহিলা সদস্য জানায়, প্রবাসী আবেদ আলী দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ দুবাই থাকেন। তার ছেলে মেহেদীও গত দুই বছর আগে মালয়েশিয়ায় চলে যায়। আবেদ আলীর স্ত্রী ও পুত্রবধূ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের খালকোলা গ্রামের ওই বাড়িতেই বসবাস করতেন ।
গত বেশ কিছুদিন যাবৎ ঐ বাড়ীতে মিস্ত্রিরা নির্মাণের কাজ করছেন। কিন্তু তাদের পারিশ্রমিকের টাকা বাকী ছিল। সেই টাকাসহ বড় অংকের টাকা বিদেশ থেকে আসবে এমনটাই জানতে পারে দুর্বৃত্তরা। সেই লোভেই শুক্রবার ভোররাতে বাড়ীর বারান্দার দেয়াল ভেঙে তারা ডাকাতির উদ্দেশে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে।
ডাকাতদের উপিস্থিতি টের পেলে আবেদ আলীর স্ত্রীকে জবাই করে ও পুত্রবধূকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে, ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর পুত্রবধূ বিথি আহত অবস্থায় প্রতিবেশী ওবাইদুল ইসলামের বাড়ীর উঠানে গিয়ে চিৎকার দিলে তাকে দ্রুত তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে প্রতিবেশীরা। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এ অবস্থায় বিথির হাতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে দুইজনের নাম উল্লেখ থাকায় তাদেরকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ সদর সার্কেল মীর আবিদুর রহমান। ক্রাইম সিনের দল আলামত সংগ্রহ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।
/এমএইচ
Leave a reply