প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ ক্রমশ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম অব্যাহত রেখেছে। ঘূর্ণিঝড়টি একই শক্তি নিয়ে উপকূল পুরোপুরি অতিক্রম করতে আরও ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। রোববার (২৬ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের সব বিভাগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও জানানো হয়।
এদিকে রিমালের প্রভাবে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া জলোচ্ছ্বাসে উপকূলের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল ক্রমশ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মোংলার দক্ষিণপশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম অব্যাহত রেখেছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে ঘণ্টায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০ কিলোমিটার। যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এ পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এছাড়া, উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলেও জানানো হয়। এই ১৫ জেলার নদীবন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেতও দেখাতে বলা হয়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় এই ১৫ জেলা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও জানানো হয়।
এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার কথাও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
/আরএইচ
Leave a reply