ঘূর্ণিঝড় রিমালে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু

|

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত ৭ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (২৭ মে) বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ভোলা জেলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিন ভোরে রিমালের তাণ্ডবের সময় বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে ২ জন নিহত হন। এসময় আহত হন আরও একজন। পুলিশ জানিয়েছে, ৪ জন হোটেলে অবস্থান করছিলেন। বাতাসের তীব্রতায় আকস্মিক পাশের চারতলা ভবনের একটি অংশের দেয়াল ধসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন হোটেল মালিক লোকমান ও কর্মচারী মোকছেদুল। আহত কর্মচারী সাকিবকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার টেক্সটাইল এলাকায় দেয়াল চাপায় মারা গেছেন সাইফুল ইসলাম হৃদয় নামের এক পথচারী। স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের সময় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় একটি দেয়ালের পাশে আশ্রয় নেন হৃদয়। হঠাৎ দেয়ালটি ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে মারা যান তিনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস তার মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ভোলায় বসতঘরে চাপা পড়ে মারা যান মনেজা খাতুন নামের এক নারী। তিনি লালমোহন উপজেলার চর উমেদ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদেরের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, রাতে মনেজা খাতুন তার এক নাতিকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে ঝড়ো বাতাসে তার টিনের ঘর ভেঙে চাপা পড়েন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনেজা। তবে অক্ষত আছেন তার নাতি।

এছাড়া, জেলার দৌলতখানে ঘর চাপা পড়ে মাইশা (৪) নামে আর এক শিশুর প্রাণ গেছে। সে দৌলতখান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ম‌নির হোসেনের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, রাতে বাবা-মার সাথে ঘু‌মিয়ে ছিল শিশু মাইশা। ভোরের দিকে ঘূ‌র্ণিঝড় রিমালে তাদরে ঘরের পাশে গাছ ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মাইশার মৃত্যু হয়। এঘটনায় তাদের প‌রিবারের আ‌রও তিনজন আহত হয়েছে।

এছাড়া, রোববার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালি আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকত মোড়ল নামে এক বৃদ্ধ মারা যান। একইদিন বিকেলে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপ‌জেলার ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে প্লা‌বিত এলাকা থেকে বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে মো. শরীফুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply