স্টাফ করেসপনডেন্ট, খাগড়াছড়ি :
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ভেঙে পড়া গাছ সরাতে গিয়ে রাসেল হোসেন নামে এক ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ মে) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম নামে আরও এক ফায়ার সার্ভিস কর্মী।
জানা গেছে, রাত ১১টার দিকে উপজেলায় খাস্রাং রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে ঝড়ো বাতাসে ৩৩ কেভির বিদ্যুৎ সঞ্চালন তারসহ সড়কের উপর গাছ উপড়ে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গাছ কেটে সরাতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্টে দুই ফায়ার সার্ভিস কর্মী আহত হন। গুরুতর অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে আনা হলে রাত পৌনে ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত অপরজন জাহিদুল ইসলাম সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন কর্মকর্তা।
এছাড়া, ভোর ৬টার দিকে আলুটিলার ময়লা টিলা নামক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকে যানবাহন চলাচল। অভ্যন্তরীণ সড়কে ছাড়াও খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম, ঢাকা রুটের বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহন আটকা পড়ে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করে। বেলা সাড়ে ৯টার দিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করার পর ফের যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
অন্যদিকে, টানা বৃষ্টি হওয়ায় ছড়া, খাল ও চেঙ্গী নদীর পানি বাড়ায় প্লাবিত হয়েছে শহরের কয়েকটি নিম্মাঞ্চল। এতে তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘর বাড়িতে পানি ঢুকেছে। ঘটেছে পাহাড় ধসের ঘটনা। চেঙ্গী নদীর তীরবর্তী এলাকা গঞ্জপাড়া, মুসলিম পাড়ার একাংশ, মিলনপুর, খবংপুড়িয়া, কমলছড়িসহ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে গেছে ৩ শতাধিক পরিবার।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। জেলায় শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
/এএস
Leave a reply