কোক স্টুডিও বাংলায় সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ওয়ারফেজের গান ‘অবাক ভালোবাসা’। নতুন সংস্করণ প্রকাশের পর থেকে গানটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়ায় অথবা অফলাইনে চায়ের কাপে উঠেছে ঝড়। গানটি শুনে নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে অভিজ্ঞ শ্রোতাদের অনেকেই।
১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয় ওয়ারফেজের দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘অবাক ভালোবাসা’। অ্যালবামটি প্রকাশের পর এর টাইটেল ট্র্যাক সাড়া ফেলে শ্রোতাদের মধ্যে। মূল গানটি ওয়ারফেজের সাবেক ভোকালিস্ট ও বেইজিস্ট বাবনা করিমের লেখা ও সুর করা। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন সেসময়ে দলটির কিবোর্ডিস্ট ও গিটারিস্ট রাসেল আলী খান।
ত্রিশ বছর পর আবার এই গানটির নতুন সংস্করণ বের হলো। সংগীতায়োজন ও পারফরম্যান্সে ওয়ারফেজের পাশাপাশি ছিল কোক স্টুডিও বাংলা টিম। কিন্তু আলোচিত এই গান সৃষ্টির পেছনের গল্প জানেন কি?
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের কাছে বাবনা জানান গানটির পেছনের গল্প। বাবনা বলেন, সুরটা আগে থেকে করা ছিল। লিরিকটা আগে মাথায় এসেছিল কিনা, এখন বলতে পারছি না। মনে নেই। তখন আমরা বুয়েট থেকে ১৭ জন মিলে কক্সবাজার যাই।
সেবারই প্রথম আমি কক্সবাজার যাই। দুপুরে পৌঁছে বন্ধুরা সমুদ্রসৈকতে চলে গেলো। আমার এক বন্ধু ছিল শুভ। সে তার গিটারটা নিয়ে গিয়েছিল। শুভ গিটারটা না নিলে হয়তো গানটা অন্যভাবে লেখা হতো। গিটারটা যেহেতু ছিল, আমি ঠিক সন্ধ্যার আগে গুনগুন করতে করতে গানটা লিখে ফেলি। রাতে বন্ধুরা ফেরার পর গানটা ওদের শোনাই। ওরাই প্রথম শ্রোতা। সমুদ্রের বিশালতাই তার গানটি লেখার প্রেরণা জুগিয়েছে বলে জানান তিনি।
অনেকে মনে করেন, ‘অবাক ভালোবাসা’ গানটি ভালোবাসার গান। এ প্রসঙ্গে বাবনা বলেন, অনেকে এটাকে ভালোবাসার গান হিসেবে নেয়। ঠিক আছে। কিন্তু গানটা আসলে বেঁচে থাকার আনন্দ নিয়ে। আমি, আপনি যে বেঁচে আছি, আমরা তো আসলে এটার জন্য কাজ করিনি। তারপরও আমাদের উপহার দেয়া হয়েছে জীবন। আমরা এটা এখন উপভোগ করছি। এই জীবন দেয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা আছে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই একটা উপহার। গানটি আসলে এই অনুভূতি নিয়ে তৈরি হয়েছে।
আরেকটি মজার বিষয়ের অবতারণা করেছেন ওয়ারফেজের এই সাবেক সদস্য। তিনি জানান, পুরুষদের চেয়ে নারীরা নাকি ‘অবাক ভালোবাসা’ গানটির অর্থ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তার ভাষ্যে, আমার কাছে কোনো জরিপ নেই। তারপরও নারী শ্রোতারা পুরুষদের চেয়ে গানটির মানে ভালো বুঝতে পেরেছেন বলে আমার মনে হয়েছে।
/এএম
Leave a reply