খণ্ডিত মাংস উদ্ধার নিয়ে যা বললেন আনারকন্যা ডরিন

|

ছবি: বাঁ থেকে আনোয়ারুল আজীম আনার ও মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

ঝিনাইদহ করেসপন্ডেন্ট:

কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা আবাসনের বিইউ-৫৬ ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংস উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। উদ্ধারকৃত মাংসের টুকরোগুলো ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের খণ্ডিত দেহাংশ বলে ধারণা করছে পুলিশ।

এদিকে মাংসের টুকরো উদ্ধারের পর যমুনা টেলিভিশনের সাথে কথা বলেছেন এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার হওয়া টুকরোগুলো বাবার কি না, তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ। ডিএনএ স্যাম্পল দেয়ার জন্য কলকাতা পুলিশ ডাকলে অবশ্যই যাবো।

ডরিন আরও বলেন, বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার সাথে অন্যকেউ জড়িত আছে কি না তা গভীরভাবে তদন্ত করতে হবে, যাতে কেউ বাদ না পড়ে। এ ঘটনায় জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন তিনি।

এদিকে, মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে খণ্ডিত মাংস উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি জানায়, ফরেনসিক পরীক্ষার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরের পর এমপি আনারের মরদেহ তল্লাশীতে নামে সিআইডি। এরপর সঞ্জীবা গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মাংসের টুকরোগুলো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাংসের টুকরোগুলোর ওজন প্রায় চার কেজি বলে নিশ্চিত করেছে সিআইডি।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান আওয়ামী লীগ দলীয় এই সংসদ সদস্য। এরপর ১৬ মে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। পরে ১৮ মে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন সংসদ সদস্যের পরিচিত ভারতের বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। এরপর এমপি আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ। বুধবার (২২ মে) কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে তাকে হত্যার তথ্য জানায় ভারতীয় পুলিশ।

এরপর এ ঘটনার তদন্তে নামে দুই দেশের পুলিশ। বাংলাদেশের পুলিশ ৩ জনকে এবং ভারতীয় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার ও একজনকে আটক করে। পরে ২৪ মে আনারকে অপহরণের মামলায় বাংলাদেশে গ্রেফতার তিন আসামির প্রত্যেককে ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। তারা হলেন, আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, সিলিস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী সাজি। একইদিন ভারতে গ্রেফতার হওয়া জিহাদকে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতে পাঠায় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের একটি আদালত।

অপরদিকে ভারতীয় একটি তদন্ত দল বাংলাদেশে এসে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদও করে। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি গোয়ান্দা দল ঘটনার তদন্তে কলকাতা যায়। এরপর তারা বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন ও ভারতে গ্রেফতারকৃত জিহাদ হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বর্তমানে ঢাকার গোয়ান্দা দলটি কলকাতায় অবস্থান করছেন।

/আরএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply