আলমগীর স্বপন:
দেশের দুই বাহিনীর সাবেক দুই প্রধানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা অনেকটাই নজিরবিহীন। এর মধ্যে একজন এমপির নির্মম খুনের ঘটনার নেপথ্যে স্বর্ণ চোরাচালানের অন্ধকার দিক সামনে এসেছে। এ ধরনের ঘটনাকে ব্যাক্তিগত বলা হলেও এক্ষেত্রে সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহারের সময় সুরক্ষা পেয়েছেন বলে দাবি বিশ্লেষকদের।
তারা বলছেন, প্রশাসন ও রাজনীতিতে দুর্নীতি করেছেন, এমন আরও অনেকে আছেন। বেনজীর-আজিজ-আনার, তিনজনকে দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে বর্তমান ক্ষমতা কাঠামো। এখানে একে অপরের সহযোগী হয়ে চলে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি।
ক্ষমতাসীন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এক্ষেত্রে সরকারের দায় দেখেন না। তিনি জানান, কেউ কোনো অনিয়ম করলে তা গোপনেই করবে। সরকার কাউকে পাহারা দিতে পারবে না। এসব কাজের জন্য অনিয়মকারীকেই জবাবদিহি করতে হবে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার বসে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এসব নিয়ে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, ব্যক্তিকে অনিয়মের সুযোগ করে দেয় প্রতিষ্ঠান। সরকার ও সেই প্রতিষ্ঠানগুলো কখনোই দায় এড়াতে পারে না। তিনি বলেন, এসব ঘটনা দুর্নীতি-অনিয়মের ‘টিপ অব দ্য আইসবার্গ’ অর্থাৎ ক্ষুদ্র অংশমাত্র। কিছু সংখ্যক পুলিশ, আমলা বা রাজনীতিবিদ দুর্নীতি করছে। তাদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাদের যে ভূমিকা ছিলো, তার কারণেই তাদের অপকর্মের দিকে তাকিয়েও মুখ বুজে রাখা হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন জনমনে রয়েছে। ১৫টি সরকারি বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে। সংসদ সদস্যদের ৫ বছরে ১০০-২০০ গুণ সম্পদ বেড়ে যাচ্ছে। এসব স্বাভাবিক ঘটনা নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
/এএস
Leave a reply