ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয় ২০০৭ সালে। সাকিবের শুরুও সেই আসর দিয়ে। এরপর এই ফরম্যাটের সবগুলো আসরেই খেলেছেন তিনি। রেকর্ড নবম টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে এখন অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তার সঙ্গে এই কীর্তি আছে শুধু ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার। তবে এবার সাকিব জানালেন আরও একটি বিশ্বকাপ খেলার ইচ্ছে রয়েছে তার। এরপরের আসর ২০২৬ সালে। যৌথভাবে আয়োজন করবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। তবে কি সেই আসরেও দেখা যেতে পারে সাকিবকে? তা সময়ই বলে দেবে।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিসিবির বিশেষ আয়োজন দ্য গ্রিন রেড স্টোরিতে কথা বলেছেন সাকিব। এক পর্যায়ে এটিই তার শেষ বিশ্বকাপ কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে টাইগার অলরাউন্ডার বলেন, প্রথম বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যতগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলো সবগুলোতেই অংশ নিতে পেরেছি। আমার জন্য এটা গর্বের ও আনন্দের। একই সময়ে যেহেতু দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, অনেক ভালো লাগার একটা জায়গা আছে। আমি এবং রোহিত শর্মাই হয়তো মাত্র দুজন ক্রিকেটার, যারা সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে। আশা করব আরও একটি বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে যেন পারফরম্যান্সটা অনেক ভালো থাকে। বাংলাদেশ যেন অন্যান্য যে কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো ফল করে আসতে পারে।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেশিরভাগ সময় মার্কিন মুলুকে থাকেন সাকিব। খেলার ফাঁকে ছুটি কিংবা সময় পেলেই এখানেই আসেন বেড়াতে। যা নিয়ে মজা করতে ভুল করেননি সাংবাদিকরা। এক পর্যায়ে প্রশ্ন করে বসেন, অনেকেই বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র সাকিবের ‘সেকেন্ড হোম’। ঘরের সুবিধা কি পাবে বাংলাদেশ দল? অবশ্য এর উত্তরে সাকিব হাসতে হাসতে বলেন, আমার সেকেন্ড হোম ঠিক আছে। তবে হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে কি না বলাটা মুশকিল। কিন্তু আমার মনে হয় পাবে.
সাকিব আরও বলেন, এর আগে যতবার ফ্লোরিডায় খেলেছি আমরা, ততবারই বাংলাদেশ ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা সব সময়ই সুবিধা পাই। কারণ পিচগুলো অনেকটা আমাদের মতোই হয়ে থাকে। তাই আমি আশা করছি দুই জায়গাতেই আমরা সুবিধা পাব।
২০০৭ বিশ্বকাপ, ২০০৯ সিরিজসহ ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অসংখ্য সুখস্মৃতি রয়েছে টাইগারদের। এবারও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে চায় তারা। আগামী ১ জুন শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। টাইগারদের প্রথম ম্যাচ ৮ জুন ভোর সাড়ে ৬টায়। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
প্রসঙ্গত, এর আগে একবার সাকিব বলেছিলেন, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই হবে তার শেষ টুর্নামেন্ট। তবে পরের ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যদি সাকিব খেলেন তাহলে তার পরের বছর আফ্রিকায় ২০২৭ আইসিসি বিশ্বকাপেও তাকে দেখতে চাইবে ভক্তরা। তবে সাকিব কতদিন লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করবেন তার চেয়েও বড় কথা, টাইগার ক্রিকেটকে সাথে নিয়ে তার এই দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়ার অধ্যায় চলমান থাকুক।
/এমএইচআর
Leave a reply