বাউফল করেসপনডেন্ট:
ঘূর্ণিঝড় রিমাল’র প্রভাবে বিলীন হয়ে গেছে ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ৬ কিলোমিটার অংশ। পটুয়াখালীর বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া নদীর মধ্যবর্তী এলাকায় এ বাঁধধসের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে গোটা ইউনিয়ন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজার মানুষ।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চরের খানকা বাজার থেকে দক্ষিনে ছালাম হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার, দিয়াকচুয়া খেয়াঘাট থেকে সুইস গেট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার এবং চরনিমদি খেয়াঘাট থেকে দক্ষিণে ৩ কিলোমিটারসহ মোট সাড়ে ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। রিমাল বিলীন করেছে এলাকার চরব্যারেট ফারুক খানের বাড়ি থেকে সেকান্দার দর্জি বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তাও।
স্থানীয়রা জানায়, ২০০৭ সালের সিডরের চেয়েও রিমালে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে এখানকার বাসিন্দারা। একরের পর একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেড়িবাঁধ ও সড়ক ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। গৃহপালিত পশু-পাখি ভেসে যাওয়াসহ অনেক বাড়িঘরও ভেঙে গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ বলেন, আমি চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে এক ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছি। দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করার আশ্বাসও দেন এমপি। তবে বেড়িবাঁধ সংস্কার নয়, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে চরবাসীরা।
/এমএইচআর
Leave a reply