আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আগামী এক বছরে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবার দেয়া হচ্ছে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট। তবে বাজেটের আকার কিংবা গাণিতিক হিসাব-নিকাশ নিয়ে ভাবতে চায় না সাধারণ মানুষ। তাদের প্রত্যশা, নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, কৃষির উৎপাদন খরচ হ্রাস ও শিক্ষার ব্যয় কমানোর সঠিক পরিকল্পনা থাকবে বাজেট প্রস্তাবে।
অব্যাহত আছে উচ্চ মূল্যস্ফীতির হার। বিবিএস’র প্রতিবেদন বলছে, বিদায়ী অর্থবছরে ২ অংক ছুঁই ছুঁই মূল্যস্ফীতির হার। এ অবস্থায় আগামী অর্থবছরের জন্য প্রাক্কলন করা হয়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। তবে বাজেটের জটিল অর্থনৈতিক হিসাব-নিকাশ নিয়ে ভাবতে চায় না সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্য ও সেবামূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা যে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করছে, আগামী বাজেটে তা সহনীয় করার উদ্যোগ দেখতে চান তারা।
এক যুগ ধরে জাতীয় বাজেটের আকার দ্রুত বাড়ছে। সে তুলনায় কৃষি বাজেট বাড়ছে না। ২০১১-১২ অর্থবছরের মোট বাজেটে কৃষি বাজেটের হিস্যা ছিল ১০.৬৫ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা নেমে এসেছে ৫.৭৪ শতাংশে। একইভাবে কৃষি ভর্তুকির হিস্যা নেমে এসেছে ৬.৪ থেকে ২.৩ শতাংশে। আগামী বাজেটে সার, বীজ, সেচের জন্য বাড়তি খরচের বোঝা থেকে মুক্তি চান কৃষকরা।
বিশ্বব্যাপী জাতীয় বাজেটের অন্তত ২০ শতাংশ বা জিডিপি’র ৬-৮ শতাংশ শুধু শিক্ষার জন্য বরাদ্দের কথা বলা হয়, কিন্তু বাংলাদেশে বরাবরই প্রয়োজনের তুলনায় কম বরাদ্দ থাকছে শিক্ষাখাতে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, পৃথিবীর যে ১০টি দেশ অর্থনীতির আকারের তুলনায় শিক্ষা খাতে সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেয়, বাংলাদেশ তার একটি। শিক্ষা ব্যয় কমিয়ে আনার জন্য আগামী বাজেটে কার্যকর উদ্যোগ চান অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে জনমিতি সুবিধায় আছে বাংলাদেশ। ফলে, প্রতি বছর কর্মক্ষম মানুুষের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী মিলছে না কাজ। আগামী বাজেটে বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কৌশলের সফল প্রয়োগ ঘটবে সেটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।
এটিএম/
Leave a reply