চুয়াডাঙ্গায় দুই সাংবাদিককে মারধর ও লাঞ্ছিতের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

|

চুয়াডাঙ্গা করেসপনডেন্ট:

চুয়াডাঙ্গায় চিত্র সাংবাদিক ও ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধিকে মারধর এবং লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। রোববার (৩ জুন) রাত ৯টার দিকে শহরের সাতগাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা, ওই এলাকার একটি পারিবারিক বিবাদের মীমাংসায় যায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাসরিন আক্তারসহ তার ফোর্স। এ সময় নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ডিবিসি নিউজের ক্যামেরা পারসন শিমুল হোসেন। পুলিশ সদস্যরা অভিযুক্ত এক ব্যক্তির ব্যাপারে শিমুলের কাছে জানতে চান। শিমুল তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে হেনস্তা করে পুলিশ কনস্টেবল শাহীন। তার কাছে টেলিভিশনের আইডি কার্ড দেখতে চায় পুলিশ কনস্টেবল। একপর্যায়ে বিষয়টি সদর থানার ওসি শেখ সেকেন্দার আলীকে জানানো হলে আরও ক্ষুব্ধ হয় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা। সেই সাথে যোগ দেয় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন। এসআই মামুন ও এএসআই নাসরিনের নির্দেশে চিত্র সাংবাদিক শিমুলকে পিকআপ ভ্যানে তোলা হয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সেলিম। এসময় তিনি পিকআপ ভ্যানের ছবি তুলতে গেলে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এসআই মামুন। ভেঙে ফেলা হয় সাংবাদিকের ব্যবহৃত ফোনটি। পরে বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে ওই চিত্র সাংবাদিককে পিক-আপ ভ্যান থেকে নামিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন পুলিশ সদস্যরা।

চিত্র সাংবাদিক শিমুলের অভিযোগ, শুরু থেকেই অশালীন ব্যবহারে মারমুখি আচরণ করেন পুলিশ সদস্যরা। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। গালিগালাজের সাথে পিক-আপ ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে গিয়ে দেখে নেয়ার হুমকিও দেন তারা।

ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, প্রথমে পুলিশ সদস্যদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কথা থানার ওসিকে জানানো হলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে পুলিশ সদস্যরা। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আমাকেও হেনস্তা করা হয়। কেড়ে নেয় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য সাংবাদিকদের কাছে সময়ও চান তিনি।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply