প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছে আফ্রিকার দেশ উগান্ডা। ক্রিকেট ইতিহাসে নাম লেখানোর দিন টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন দেশটির অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তানের দুই ওপেনার উগান্ডাকে পেয়ে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ফুলঝুড়ি ছোটান চার-ছয়ের। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারেই দুই আফগান অধিনায়ক তুলে নেন ৬৬ রান। আর দলীয় ১০০ স্পর্শ করে মাত্র ৯ ওভার ৫ বলেই।
তবে এমন উড়ন্ত সূচনার পরও ১৮৩ রানেই আফগানিস্তানকে থামিয়েছে উগান্ডা। এর জন্য উগান্ডার বোলারদের যেমন ক্রেডিট রয়েছে, তেমনি আফগান ব্যাটারদের ব্যর্থতাও রয়েছে। আফগানরা উদ্বোধনী জুটিতে তোলে ১৫৪ রান। মাত্র ১৪ ওভার ৩ বলেই এই রান তোলেন গুরবাজ-জাদরান। সেখান থেকে ২০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৮৩। অর্থাৎ শেষ ৩৩ বলে স্কোরকার্ডে যোগ হয় মাত্র ২৯ রান।
আফগানিস্তানের উদ্বোধনীতে জুটি ভাঙেন উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। তার বলে সাজঘরে ফেরার আগে ইব্রাহিম জাদরান খেলেন ৪৬ বলে ৭০ রানের ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চার ও এক ছক্কায়। জাদরানের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার গুরবাজ। ৪ বলের ব্যবধানে রামজানির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ডানহানি। ফেরার আগে খেলেন ৪৫ বলে ৭৬ রানের কার্যকরী ইনিংস। তার ইনিংসটি চারটি করে চার-ছয়ে সাজানো ছিল।
শেষদিকে ঝড় তোলার দায়িত্ব থাকলেও ব্যর্থ হয়েছেন আফগান ব্যাটার নাজিবুল্লাহ জাদরান, গুলবাদিন নাঈব ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এদিন ব্যর্থ হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মোহাম্মদ নবীও। তিনি ১৬ বল খেলে ১৪ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেছেন। এই ১৬ বলে একটিও বাউন্ডারি মারতে পারেননি নবী।
উগান্ডার পক্ষে অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা ৪ ওভারে ২১ রানের বিনিময়ে শিকার করেন দুইটি উইকেট। কসমস কেইউতা দুইটি এবং আল্পেশ রামজানি শিকার করেন একটি উইকেট।
/এনকে
Leave a reply