Site icon Jamuna Television

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির ‘কিছুটা’ উন্নতি, কমেছে সুরমা-কুশিয়ারার পানি

সিলেট নগরীতে প্লাবন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নতুনভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় নগরীর জলাবদ্ধ এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে এখনও পানিবন্দী নগরীর বেশকিছু এলাকা। বাসা বাড়ি থেকে পানি কমায় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে নেমেছে। একইভাবে কমেছে কুশিয়ারা, লোভা, সারি এবং ধলাই নদীর পানি। সোমবারও ভারি বৃষ্টিতে নগরীর বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দশ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরের পর থেকে ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। নগরীর উঁচু এলাকাগুলোর পানি ‍পুরোপুরি নেমে গেছে। তবে নিচু এলাকাগুলোতে পানি রয়েছে। যেটি গত দুই-তিনদিনের তুলনায় খুবই অল্প।

এর আগে, রোববার (২ জুন) রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত সিলেটে ২২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এতে নতুন করে প্লাবিত হয় মিরাবাজার, মির্জাজাংগাল, নাইওরপুল, মেন্দিবাগসহ বিভিন্ন এলাকা। পানি ওঠে সিলেট ওসমানী মেডিকেলেও। এতে ব্যাহত হয় চিকিৎসা কার্যক্রম।

নগরীর সুবহানিঘাট, উপশহর, যতরপুর, জামতলাসহ বিভিন্ন এলাকর রাস্তাঘাট ঢুবে যায়। বাসাবাড়ি-দোকানপাটেও পানি ঢুকে পড়ে। বন্ধ থাকে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। এছাড়া জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জও প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের তোড়ে গোয়াইনঘাটে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে প্লাবন কবলিত মানুষের দিন।

/এনকে

Exit mobile version