টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ডি গ্রুপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পায়নি শ্রীলঙ্কা। অ্যানরিখ নরকিয়ার বোলিং তোপে মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর বল হাতে লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত ২২ বল আগেই হার মানতে হয় তাদের। হারের পর বিশ্বকাপের ব্যস্ত সূচি, আবাসন ব্যবস্থা ও ক্লান্তিকর ভ্রমণ নিয়ে একগাদা অভিযোগ তুলেছেন লঙ্কান স্পিনার মাহিশ থিকশানা।
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচ চারটি আলাদা ভেন্যুতে। লঙ্কানরা বাদে শুধু নেদারল্যান্ডসই ২০ দলের মধ্যে চারটি আলাদা ভেন্যুতে চারটি ম্যাচ খেলবে। সেখানে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিউইয়র্কেই খেলবে তিনটি করে ম্যাচ। ওই দুই দল স্টেডিয়ামের কাছেই হোটেল পেয়েছে। সেক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে লঙ্কানরা। তার ওপর শুরুর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে থিকশানা বলেন, আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আমাদের প্রতিদিন (ম্যাচের পর) ছুটতে হবে কারণ আমরা চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলবো। এটি অন্যায্য। ফ্লোরিডা থেকে মায়ামি আসতে বিমানবন্দরে আমাদের প্রায় ৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখানে আসার পর রাত ৮টায় আমাদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্লাইট ভোর ৫টায়। এটি সত্যিই অন্যায্য। তবে মাঠে খেলার সময় এসব কোনো গুরুত্ব রাখে না।
বিশ্বকাপে প্রুপপর্বে ইংল্যান্ড দুই ভেন্যুতে খেলবে তাদের চার ম্যাচ। এক ভেন্যুতে যত বেশি ম্যাচ ততই বাড়তি সুবিধা দলগুলোর। বাড়তি ভ্রমণক্লান্তি, কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত অভ্যস্ততার জন্য চাপ থাকে না তখন। অন্যান্য দলগুলোকে যে সুবিধা পাচ্ছে তা শ্রীলঙ্কা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ থিকসানার।
তিনি বলেন, আমি দলগুলোর নাম বলতে পারবো না যারা একই জায়গায় থাকার সুবিধা পাচ্ছে কিন্তু মাঠ থেকে হোটেলের দূরত্ব মাত্র ১৪ মিনিটের। যেখানে আমাদের ছিল প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের। আমি দলগুলোর নাম বলতে পারবো না যারা একই ভেন্যুতে খেলবে। তাই তারা কন্ডিশন সম্পর্কেও জানে। তারা প্রস্তুতি ম্যাচও একই ভেন্যুতে খেলেছে। আর কেউ এটি পাবে না।
শ্রীলঙ্কার পরের ম্যাচ আগামী ৮ জুন বাংলাদেশের বিপক্ষে ডালাসে। এরপর নেপালের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ হবে ফ্লোরিডায়। ফ্লোরিডায় অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছে শ্রীলঙ্কা। ফ্লোরিডার ম্যাচটি খেলেই তাদের ধরতে হবে সেন্ট লুসিয়ার বিমান। চতুর্থ ম্যাচটি তারা খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ম্যাচ শেষ করেই পরের গন্তব্যে যাওয়ার যে তাড়াহুড়ো সেটাই দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে লঙ্কান শিবিরকে।
থিকসানার ভাষায়, আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি ফ্লোরিডায়। সেখানে আমাদের তৃতীয় ম্যাচ। পরবর্তী বছরে হয়তো সবাই এটি নিয়ে চিন্তা করবে। কারণ আমি জানি, এই বছর আর কিছু পরিবর্তন হবে না। আমাদের ম্যানেজমেন্ট ফ্লাইটের বিষয়টি দেখার চেষ্টা করছে। কারণ আমরা এখানে খেলছি এবং সব কিছু গুছিয়ে রওনা দিতে হবে। মাথার মধ্যে সবসময় এটি কাজ করে যে, তাড়াহুড়োয় কিছু ফেলে এলাম না তো।
/আরআইএম
Leave a reply