গত ৫৩ বছরে ৫৪টি বাজেট এসেছে। এর মধ্যে একটি বাজেট মুজিবনগর সরকারের। দৈনন্দিন ও অপরিহার্য ব্যয় নির্বাহে ১৯৭১ সালের ১৯ জুলাই বাজেট পেশ করেছিল মুজিবনগর সরকার। পরে স্বাধীন বাংলাদেশে ঘোষিত প্রতিটি বাজেটই উপস্থাপন করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। এর মধ্যে দুইটি অর্থবছরের বাজেট একসঙ্গে দেয়া হয়েছিল। ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেট একসঙ্গে দিয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ হতে যাচ্ছে। নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রথমবারের মতো এই বাজেট দিতে যাচ্ছেন। ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ স্লোগানে তিনি এই বাজেট উত্থাপন করতে যাচ্ছেন।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হবে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশের বিজয়ের পর থেকে প্রতিটি বাজেট কেন বৃহস্পতিবারই পেশ হয়ে আসছে? এ নিয়ে কোনো কি নিয়ম-নীতি আছে— জনমনে তা প্রশ্ন।
আদতে কোনো নিয়ম-নীতি নেই। অতীতে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানো ব্যক্তিদের বক্তব্য এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, বাজেট দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের বেশ পরিশ্রম করতে হয়। তাই বৃহস্পতিবার বাজেট দেয়া হলে পরে সাপ্তাহিক ছুটি পাওয়া যায়। তখন বাজেট বিশ্লেষণ করারও একটা সময় পাওয়া যায়। যেহেতু বাজেট পেশের পরের সপ্তাহে সম্পূরক বাজেট পাশ করতে হয়। সংসদ সদস্যরা যেন বিষয়টি ভালোভাবে পড়াশুনা কিংবা বুঝতে পারেন তাই কিছুটা সময় দরকার হয়। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটিতে আদালত বন্ধ থাকায় কেউ আইনি কোনো পদক্ষেপও নিতে পারে না।
কেউ কেউ আবার দীর্ঘদিন ধরে চলা (বৃহস্পতিবার বাজেট পেশ) এই রেওয়াজের কথা বলছেন। যা কি না অনুসরণ করে আসছে সবাই। কেউ সেটা ভাঙতে চাচ্ছে না।
/এমএন
Leave a reply