আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে টিম ইন্ডিয়া। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটের সহজ জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে কোহলি-রোহিতরা। ইতিমধ্যে টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক ৪২ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছেন হিটম্যান। টপকে গেছেন ধোনিকে।
রোহিতের পথচলটা সহজ ছিলোনা। লম্বা সময় ধরে রোহিত-কোহলির দ্বন্দ ওপেন সিক্রেট। কিন্তু ব্যক্তিগত সমস্যা পেছনে ফেলে দু’জন একসাথে খেলছেন দীর্ঘদিন থেকে।
ভারতীয় দলে ভিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার মধ্যে যে একটা লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছিল তা এক প্রকার মেনেই নিলেন প্রাক্তন কোচ আর শ্রীধর। তিনি বলেন, রোহিত এবং ভিরাটকে ঘরে ডেকে সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন রবি শাস্ত্রী। তারপরেই রোহিত এবং ভিরাটের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়। সেখানে রবি ওদের বলে, ‘নেটমাধ্যমে যা হয়েছে , তা হয়ে গিয়েছে। তোমরা দলের সব থেকে সিনিয়র ক্রিকেটার। দলের মধ্যে এই ভাগাভাগি বন্ধ করতে হবে। আমাদের এগোতে হলে তোমাদের এক হতে হবে।
এবারতো রোহিতের পাশে দেখা গেলো কোহলিকে। প্রথম ম্যাচে জুটি হিসেবে সফল না হলেও টিম ইন্ডিয়ার প্রথম পছন্দ রোহিত-কোহলি জুটি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে রোহিতের ৩৭ বলে ৫২ ইম্প্যাক্ট ১০০ তে ১০০। অপরদিকে দীর্ঘদিন পর ওপেন করতে নেমে ব্যর্থ ছিলেন কোহলি।
দু’জনেই ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাণভোমরা। ভারত কে জিতিয়েছেন বহু ম্যাচ । রোহিতের ১৪৪ টি-টোয়েন্টিতে ১৩৯.৯৪ এভারেজে ৫টি সেঞ্চুরির পাশে আছে ৩০ টি অর্ধ-শতক। ১১০ টি-টোয়েন্টিতে ১৩৭.৯৬ স্ট্রাইক রেটে ১টি সেঞ্চুরি ও ৩৭টি ফিফটি আছে কোহলির।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১০টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস রোহিতের যা ২য় সর্বোচ্চ। ইতিহাসের মাত্র ৩য় খেলোয়াড় হিসেবে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। অপরদিকে বিশ্বকাপে মাত্র ২৭ ম্যাচে ১১৪১ রান করেছেন কোহলি। ১৩১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে ৮১.৫০ গড়ে তার ফিফটি ১৪ টি।
নিজেদের সম্পর্ক সাপে-নেউলে হলেও তার প্রভাব কখন ও দলের উপর পড়তে দেননি কোহলি-রোহিতরা। অপরদিকে বাংলাদেশের সাকিব-তামিম দ্বন্দ্বের জেরে বাইরে তামিম।
/আরআইএম
Leave a reply