যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের কোনো বৈশ্বিক আসর আয়োজনের স্বাদ পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশটিতে। যদিও উইকেট নিয়ে বেশ সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছে দেশটিকে।
বিশেষ করে নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত হয়েছে দু’টি ম্যাচ। দুটি ম্যাচেই উইকেটের আচরণ ছিল অস্বাভাবিক। ব্যাটারদের নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। আর সেই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও নাভিশ্বাস উঠে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
দ্বিতীয় ম্যাচেও অনেকটা একই অবস্থা। আয়ারল্যান্ডকে ৯৬ রানে অলআউট করে জয় পেয়েছে ভারত। দুটি ম্যাচ শেষেই ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকদের কাঠগড়ায় উঠেছে এই ড্রপ ইন পিচ। একই সঙ্গে শঙ্কা বাড়ছে এই মাঠে আগামী ৯ জুন হতে চলা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে।
কেননা, প্রথম দুটি ম্যাচের পর অনেকেরই ধারণা ক্রিকেটের অন্যতম আকর্ষণীয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটাও বুঝি ম্যাড়ম্যাড়ে হতে চলেছে। আর সেটি হলে যে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করে বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেয়ার মূল লক্ষ্যটাই ম্লান হয়ে যাবে আইসিসির। যা কোনোভাবেই চাচ্ছে না আইসিসি। তাই অনেকটা তড়িঘড়ি করেই উইকেট ঠিক করতে মাঠে নেমেছে তারা। যা এক বিবৃতিতেও নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
নাসাউ স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে আইসিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, আইসিসি স্বীকার করেছে যে নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত পিচগুলি আমরা সবাই যেভাবে চেয়েছিলাম তা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। বিশ্ব-মানের গ্রাউন্ডস দল পরিস্থিতির প্রতিকার করতে এবং বাকি ম্যাচগুলির জন্য সম্ভাব্য সেরা সারফেস সরবরাহ করতে গতকালের খেলার সমাপ্তির পর থেকে কঠোর পরিশ্রম করছে।
যদিও এত দ্রুত সময়ের মধ্যে উইকেট কীভাবে ভালো করা যাবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি আইসিসি। এদিকে বাংলাদেশ শনিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে। ম্যাচটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে। তুলনামূলকভাবে এই মাঠের উইকেট বেশ স্বাভাবিক।
/আরআইএম
Leave a reply