গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের কোদালের আঘাতে বড় ভাই মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত সামছুল হুদার (৩৮) বাড়ি উপজেলার তালুককানুপুর গ্রামে। এ সময় আহত হয়েছেন অপর ভাই শাহীন মিয়া (৩৫)। ঘটনায় অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম শ্যামল (৩০) পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী গোলাপী বেগমকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ জুন) ভোর রাতে বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সামছুল হুদা। এর আগে, বুধবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর গ্রামে ছোট ভাই আনোয়ারুল ইসলামের কোদালের আঘাতে গুরুতর আহত হন তার দুই ভাই সামছুল হুদা ও শাহীন মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহতের পিতা হাবিজার রহমানের দুই স্ত্রীর মধ্যে প্রথম স্ত্রীর ছেলে সামছুল হুদা ও শাহীন মিয়া। আর ছোট স্ত্রীর ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম শ্যামল। বেশ কিছুদিন ধরে ৪ শতাংশ জমি নিয়ে বড় ভাই সামছুল হুদার সঙ্গে ছোট ভাই আনোয়ারুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জেরে বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সামছুল ও শাহীনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আনোয়ারুল তার হাতে থাকা একটি কোদাল দিয়ে সামছুলের মাথায় ও শাহীনের শরীরে আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় সামছুলকে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও শাহীনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর রাতে মারা যান সামছুল হুদা।
উল্লেখ্য, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ্। তিনি বলেন, সদর হাসপাতালের মর্গে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে দুপুরে মরদেহ তার স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছে। ঘটনার দিনেই নিহত সামছুল হুদার স্ত্রী লাবনী বেগম বাদি হয়ে দুইজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার প্রধান আসামি আনোয়ারুল ইসলাম পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী গোলাপি বেগমকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
/এমএইচআর
Leave a reply