স্টাফ করেসপনডেন্ট, পটুয়াখালী:
এফরান ফকির। বয়স ১১০ বছর। বয়সের ভারে ন্যুজ। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না। শ্বাস কষ্টসহ নানা রোগে ভুগছেন। তারপরেও দুই ভাইয়ের ছেলের কাঁধে ভর করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট দিলেন। জীবনে কোনো ভোটই মিস করেননি তাই শতকষ্টের মধ্যেও এবার গেলেন ভোট দিতে। জীবনে আর ভোট দিতে পারেন কিনা জানেন না। এই বয়সে ভোট দিতে পেরে নিজেকে ধন্য ও গর্বিত মনে করেন এরফান ফকির।
রোববার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার আংগারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তীব্র দাবদাহের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন এরফান। তার বাবার নাম হোচেন আলী ফকির। মাতা ফরিদা বেগম। বাড়ি ওই এলাকার বাহেরচর ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এরফান ফকির নিজে একসময় এই কেন্দ্রের স্কুল নির্মাণে রাজমিস্ত্রির কাজ করেছেন। স্কুলের পাশের মসজিদ নির্মাণেও তার অবদানের কথা বার বার বললেন। এরফান জানান, এই প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছি সেই প্রতিষ্ঠানে ভোট দিলাম।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার দিপংকর চন্দ্র শীল বলেন, সকাল থেকে আমার কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি অনেক বেশি। আমি নিজেকে গর্বিত মনে করেছি যে, ওনার মত ( এরফান ফকির ) একজন মুরুব্বীকে আমি নিজে বুথে নিয়ে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করাতে পেরেছি।
যেহেতু তার হাত এবং পা কাঁপছে। তাই সে যেখানে সিল মারতে বলেছে আমি সেখানেই সিল মেরে ওনাকে দেখিয়েছি। ১১০ বছর বয়সী ওনার মত একজন ভোটার আমার কেন্দ্রে আমাদের সকলের সহযোগিতায় ভোট দিতে পেরেছে তাতে আমি আনন্দিত।
এটিএম/
Leave a reply