টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই টাইগার পেসার তানজিম সাকিবের আগুনে পেসের সামনে মাত্র ২৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে পর্যয়ে পরে প্রোটিয়ারা। তবে পঞ্চম উইকেটে হেইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১১৩ রানের বেশি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। টাইগারদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১১৪ রান।
সোমবার (১০ জুন) নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠায় প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তানজিম সাকিবের উপর চেপে বসেছিলেন কুইন্টেন ডি কক। বিশাল ছক্কা ও চারের পর সিঙ্গেল নিয়ে তিনি স্ট্রাইক দেন রেজা হেনড্রিকসকে। স্ট্রাইক পেয়ে প্রথম বলেই এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে গেছেন প্রোটিয়া ওপেনার। ভেতরে ঢোকা বল খেলতে গিয়ে পায়ে লাগিয়ে ফেরেন তিনি। ১১ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং উপহার দেন কুইন্টেন ডি কক। তবে ইনিংসের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে ডি ককের ঝড় থামান তানজিম সাকিব। তানজিমের বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাটে পাননি বাঁহাতি ওপেনার। উড়ে যায় তার স্ট্যাম্পের বেলস। ১৯ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে দক্ষিণ আফ্রিকার।
ডি ককের বিদায়ের পর ইনিংস বড় করতে পারেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করামও। তাসকিন আহমেদের অফ স্টাম্পের বাইরে পিচকরা লেংথডেলিভারি এঙ্গেলের সঙ্গে ভেতরে ঢোকার মুখে ভুল লাইনে ব্যাট চালান মার্করাম। বল আঘাত করে স্টাম্পে। আউট হওয়ার পর বিস্ময়ভরা চোখে পিচের দিকে তাকিয়ে থাকেন মার্করাম। ৮ বলে ৪ রান করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
মার্করামের বিদায়ের পর দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফেরেন ট্রিস্টান স্টাবস। ইনিংসের ৫ম ওভার করতে আসা তানজিম সাকিবের অফ স্টাম্পের বাইরেশর্ট অব লেংথ ডেলিভারি অফ সাইডে খেলারচেষ্টায় ঠিকঠাক মারতে পারেননি স্টাবস। শর্ট কভারে নিচু হয়ে দারুণ ক্যাচ নেন সাকিব আল হাসান। শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন স্টাবস।
এরপর দলের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার হেইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। এই দুই ব্যাটার ঠাণ্ডা মাথায় দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যান। খুব বেশি আক্রমণাত্মক না হলেও রানের চাকা সচল থাকে এই সময়ে। পঞ্চম উইকেটে এই জুটি তোলে ৭৯ রান। শেষের দিকে এই জুটি ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই আঘাত হানেন সেই তাসকিন।
৪৪ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যেতে হয় ক্লাসেনকে। তাসকিনের গুড লেংথের বল ক্লাসেনের ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে স্টাম্প ভেঙে দেয়। ফলে ফিরে যেতে হয় এই প্রোটিয়া ব্যাটারকে। ১৯তম ওভারে এসে মিলারকে বোল্ড করে প্রোটিয়াদের রানের লাগাম টেনে ধরেন রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনারের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হন এই প্রোটিয়া তারকা।
শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান মাত্র ৪ রান খরচা করলে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান। টাইগারদের হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তানজিম সাকিব। ২টি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়াও রিশাদ হোসেন নেন ১টি উইকেট।
/আরআইএম
Leave a reply