তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দারুণ প্রচেষ্টার পরও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে জেতা হলো না বাংলাদেশের। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে তাদেরকে হারানোর সুযোগ পেয়েছিলেন রিয়াদ-হৃদয়রা। তবে শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে ৪ রানের দূরত্বে টাইগারদের ইনিংস থেমে গেছে। অবশ্য এমন হারের পর আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আফ্রিকার দেয়া ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না বাংলাদেশের। দলের চাপ বাড়িয়ে দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন ওপেনার তানজিদ তামিম। এরপর দলীয় ২৯ রানে আরেকবার ব্যর্থ হয়ে ফেরেন লিটন দাস। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তও পারেননি কোনো সুবিধা করতে। পরে হৃদয়ের ৩৭ এবং শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২০ রানে ভর করে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি রিয়াদ-জাকের আলী অনিকরা। দল থেমেছে ১০৯ রানে।
অল্পের জন্য ফসকে যাওয়া ম্যাচ শেষে দেয়া সাক্ষাৎকারে অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, ম্যাচে তারা কিছুটা নার্ভাস ছিলেন, তবে আত্মবিশ্বাসও ছিল। ভেবেছিলাম যে হয়ে (চেজ) যাবে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি। তানজিম হাসান সাকিব গত কয়েকদিন কঠোর পরিশ্রম করেছে, আমরা নতুন বলে উইকেট চাই। সে আজ (গতকাল) যা করে দেখালো, অসাধারণ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে জয় পাওয়া উচিত ছিল বলেও মনে করেন শান্ত। তিনি বলেন, এই ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল, শেষ দুই ওভার তারা সত্যিই ভালো বোলিং করেছে। ক্রিকেটে এটা হতেই পারে।
রিশাদ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, সে খুব ভালো বল করেছে, সে খুব কঠোর অনুশীলন করেছে। আশা করি সে এমনটা চালিয়ে যাবে। সব সমর্থকদের ধন্যবাদ, আশা করি তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজেও আসবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতলে সুপার এইটে ওঠার দৌড়ে এগিয়ে যেতো বাংলাদেশ। এখন তাদের পরবর্তী দুটি ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যে নামতে হবে। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আপাতত যুক্তরাষ্ট্র অধ্যায় শেষ হলো টাইগারদের। সুপার এইটের বাকি দুই ম্যাচে শান্তরা নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে মোকাবেলা করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংসটাউনে।
/এনকে/এমএন
Leave a reply